ঢাকা: ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দণ্ডিত সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন তিন মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো.রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও রেদওয়ান আহমেদ রানজীব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন তিন মাসের স্ট্যান্ডওভার করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে তিন মাস পর আদালত আদেশ দেবেন।
২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর এই মামলায় দুই ধারায় মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুটি ধারায় আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারায় মোয়াজ্জেমের পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ২৯ ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া আইনের ৩১ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোয়াজ্জেমকে খালাস দেওয়া হয়। সাজা ধারাবাহিকভাবে কার্যকর হবে বিধায় ওসি মোয়াজ্জেমকে আট বছরই কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এরপর হাইকোর্টে আপিল করেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। গত বছরের ১৮ আগস্ট হাইকোর্ট তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পরে তিনি সেই আপিলে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
নুসরাত জাহান রাফিকে ‘অসম্মানজনক’ কথা বলা ও তার জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।