Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ইসিকে বিতর্কিত করতেই দুর্নীতির অভিযোগ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:২১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিতর্কিত করতেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। তিনি বলেন, তাদেরকে (নির্বাচন কমিশনার) নয়, প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করতেই বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ইসিতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা প্রত্যেকেই ৩০/৩১ বছর বিভিন্ন দফতরে চাকরি করেছেন। পূর্বের কর্মস্থলে তারা যেভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন, এখানেও তারা সেভাবেই স্বচ্ছ আছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের বিশিষ্ট ৪২ নাগরিক নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতির কাছে দু’দফা চিঠি দিয়েছেন। এছাড়াও, সুপ্রিম কোর্টের ১০১ আইনজীবী নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণে পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন। ওই পদক্ষেপগুলোর প্রেক্ষিতে কবিতা খানম এসব কথা বলেন।

কবিতা খানম বলেন, তারা কেউই জানতেন না, তারা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ দেবেন। তারা কর্মজীবনে স্বচ্ছ থেকেছেন, মাত্র পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়ে নিশ্চয়ই নিজেদের বিতর্কিত করবেন না।

আইনজীবীদের দেওয়া চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে তার কিছু বলার নেই। যখন থেকে প্রশিক্ষণ চলছে, তখন থেকেই প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মানি দেওয়া হচ্ছে। এখনও দেওয়া হয়। এটা কমিশন থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে কবিতা খানম বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কিছু কিছু সহিংসতা হচ্ছে। তবে, আগের তুলনায় সহিংসতা অনেকটা কম। প্রার্থীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে নির্বাচনের পরিবেশটা ভালো থাকবে।

একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে- এর প্রেক্ষিতে কবিতা খানম বলেন, এ ব্যাপারে তার কথার বিরুদ্ধে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না।

নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণের ব্যয় সংক্রান্ত অডিট আপত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, অডিট আপত্তি প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানেই আসতে পারে, এটা দুর্নীতি নয়। সংশ্লিষ্ট খাতে টাকাটা সঠিকভাবে খরচ হয়েছে কি-না, সেজন্যই অডিট হয়।

প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ইসির পক্ষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ যদি কমিশনে আসে, তখন ইসি ব্যবস্থা নিতে পারবে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে যখন অভিযোগ আসে তখন তিনি অভিযোগটি তদন্ত করেন। এবং তদন্ত প্রতিবেদন ইসিতে দাখিল করেন। ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে যে অভিযোগগুলো ইসিতে আসে সেগুলো থানায় মামলার জন্য দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/জিএস/একেএম

আদালত কবিতা খানম দুর্নীতি নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুলিশ প্রশাসন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর