Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় বাবার যাবজ্জীবন চায় রাষ্ট্রপক্ষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:৩১

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় থানাধীন এলকায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাবা কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য রয়েছে।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করবেন। ট্রাইব্যুনালে এই প্রথম বাবা বিরুদ্ধে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করতে চলেছে।

এর আগে, গত ২৮ জানুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন রায় প্রস্তুত করতে না পারাই ঘোষণার তারিখ পেছান ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামি কামালের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আশা করছেন। আসামিপক্ষে খালাসের প্রত্যাশা।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা (অরেঞ্জ) জানান, আসামি কামালের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে। মামলাতে অন্যান্য সাক্ষীরাও আসামিকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যেহেতু বিষয়টি সেনসেটিভ, তাই আসামির দৃষ্টান্ত সাজা হওয়া দরকার। ভবিষ্যতে যেন কোনো বাবা তার মেয়ের দিকে কুনজর না দিতে পারেন। আশা করছি, আসামির সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হবে।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিবুল হাসান আপেল জানান, বিচার চলাকালে বাদী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। সে বলেছে, তার বাবা তাকে জন্ম দিয়েছে। সে বিচার চাই না। যেহেতু বাদী বিচার চাই না সেক্ষেত্রে আদালত বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এ মামলার বাদী আসামির বিচার চাই না। যেহেতু বাদী বিচার চাই না, বাবার মুক্তি চাই হয়ত আদালত দয়া করে তাকে খালাস দিতে পারেন। আশা করছি, আদালত তাকে খালাস দেবেন।

বিজ্ঞাপন

ভিকটিমের মামা জানান, ছেলে-মেয়ের আশ্রয়স্থল পিতা-মাতার কাছে। সেখানে যদি সন্তানরা নিরাপদ থাকতে না পারে। তাহলে সন্তানরা যাবে কোথায়? যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সে জঘন্য অপরাধ করেছে। এ অপরাধে তার যে সাজা আছে যেন সেটাই নিশ্চিত হয়। এই আশা করছি।

গত ১৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার এ রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, পূর্বে ভিকটিমের বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় ভিকটিম তার দাদির কাছে থাকত। ডিভোর্সের পর আসামি লিপি বেগম নামে আরেকজনকে বিয়ে করে। গত বছরের এপ্রিল মাসে ভিকটিমকে তার বাবা রূপনগর আবাসিক এলাকার বস্তিতে নিয়ে যায়। এ নিয়ে তার সৎ মায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়। পরে ২ মে ভিকটিমকে নিয়ে তার বাবা বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। ৪ মে এবং ৫ মে কামাল হোসেন ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেও বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে রাজধানীর বাড্ডা থানার এসআই আল-ইমরান আহম্মেদ কামাল হোসেনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ১২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন আদালত। মামলা দায়েরের পর কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

সারাবাংলা/এআই/একে

আদালত হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর