বই প্রকাশের দায়ে মানুষ হত্যাকারীরা সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রু
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:৫২
ঢাকা: জিহাদের অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলাম বা আনসার উল্লা বাংলা টিমের সদস্যদের লক্ষ্য ছিল ব্লগার, লেখক ও প্রকাশকদেরকে হত্যা করে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বন্ধ করা এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ও অসম্প্রদায়িক চরিত্র ধ্বংস করে দেওয়া।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান ব্লগার দীপন হত্যার রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক এসব কথা তুলে ধরেন।
রায় ঘোষণার পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আসামিদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া এবং মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বন্ধ করে দেওয়া এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ও অসম্প্রদায়িক চরিত্র ধ্বংস করে দেওয়া। ব্লগার অভিজিত রায়ের বই প্রকাশ করার জন্যই জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ও প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, যারা বই প্রকাশের দায়ে মানুষ হত্যা করতে পারে, তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রু।
দীপন হত্যা মামলার রায়ে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ। এরমধ্যে মধ্যে জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক।একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলার রায় ১৬ ফেব্রুয়ারি
সারাবাংলা/এআই/এএম