চবি খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:২৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ছয় দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন তারা।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি মধ্যে আছে, অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যতীত দেশের সর্বত্রই নিয়মিত ও স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে তাই অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার অনুমতি প্রদান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাসগুলো শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টসমূকে অবহিত করে পর্যায়ক্রমে সকল বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বশরীরে ক্লাস করার অনুমতি প্রদান করা, সেশন জট নিরসনের জন্য সর্বোপরী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ‘ফ্রি বাস সার্ভিস’ চালু করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু চালু আছে। এভাবে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী সেশনজটে পড়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর কতদিন বন্ধ থাকবে? বাংলাদেশে ভ্যাকসিন চলে এসেছে, করোনাও কমে আসছে। তাই আমরা সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রমে অনেকটাই পিছিয়ে গেছ। নেটওয়ার্কজনিত সমস্যার কারণে অনেকের অনলাইন ক্লাস করাও সম্ভব হচ্ছে না। করোনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেশনজটের মুখোমুখি হচ্ছে। সেই সঙ্গে তীব্র আবাসিক সংকট শিক্ষার্থীদের জীবনে আরেক দুর্বিষহ অধ্যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থীদেরই পরীক্ষার কারণে ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে। যা ব্যয়বহুল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে।
ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আরজু আহমেদের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী ছাত্র সমাজের (ডিসকু) সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারহা নাজনীন, চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা, দর্শন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি কানন।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থী সাক্ষরযুক্ত সম্মিলিত একটি দরখাস্ত পেয়েছি। তারা দরখাস্ততে উল্লেখ করেছে আবাসিক হল খুলে দেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার। আমার তাদের দাবির প্রতি পজেটিভ। করোনা পরিস্থিতি আরেকটু স্বভাবিক হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করবো।
সারাবাংলা/সিসি/এমআই