ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে পিটিএ কাজে লাগাতে চায় সরকার
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৫১
ঢাকা: ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ— প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট) কাজে লাগাতে চায় সরকার। এই চুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দুই দেশই লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিলের সঙ্গে এক সৌজন্য মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ভুটান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতিদাতা দেশ। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে আমরা গত বছরের ৬ ডিসেম্বর পিটিএ সই করেছি। এটি দেশের প্রথম পিটিএ।
তিনি বলেন, ভুটান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা পিটিএ সই করেছি। যত দ্রুতসম্ভব দুই দেশের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমরা পিটিএ সুবিধা কাজে লাগাতে চাই। এজন্য আগামী মার্চ মাসে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং করে উভয় দেশের প্রয়োজনীয় কাজগুলো শেষ করা যায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে নির্মাণ কাজের সামগ্রী আমদানি করে থাকে। ভুটানের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, প্লাইউড, মিনারেল ওয়াটার, জুস, ওষুধ, শুকনা খাবারসহ অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি পরিবহন চালু হলে দুই দেশই বাণিজ্যিকভাবে উপকৃত হবে।
ভুটানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পিটিএ সুবিধা পেতে ভুটান সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে। আসন্ন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করা হবে। বাণিজ্য সহজ ও দ্রুত করতে বাংলাদেশের বুড়িমারি, বাংলাবান্ধা, সোনাহাট ও আখাউড়া স্থলবন্দরের সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন।
পণ্য আমদানি-রফতানিতে তৃতীয় কোনো পক্ষের সহযোগিতা ছাড়াই সরাসরি বাণিজ্য করার ওপর গুরুত্ব দেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত। ভুটান বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পাথর সরবরাহ করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য রাসায়নিক সার আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি ভুটানের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ভুটানে ৭ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। একই সময়ে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৯ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য। পিটিএ সইয়ের ফলে দুই দেশই আশা করছে, আগামীতে দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য বাড়বে।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর