সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব প্রতিরোধে কাজ করার আহ্বান আইজিপির
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:৪৮
ঢাকা: পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় জবাবদিহিতা রয়েছে। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ায় কোনো জবাবদিহিতা নেই। এই মিডিয়া থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটা একটা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এটি মোকাবেলা করতে সাংবাদিক ও পুলিশকে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের শাপলা কনফারেন্স সেন্টারে আইজিপির সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এ সব কথা বলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ। এ ছাড়া ক্র্যাবের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিক। এ সময় পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, সারাদেশে প্রাণঘাতি করোনার মধ্যেও ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা হিসেবে পুলিশ ও সাংবাদিকরা একত্রে মাঠে ময়দানে কাজ করেছেন।
আইজিপি বলেন, ‘এক সময় ঢাকায় ১৬৫ টি ছিনতাই স্পট ছিল। বিমান বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইনের দুই পাশে ছিল মাদকের হাট। এখন রাজধানীসহ সারাদেশে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটাই কমে এসেছে।’
আইজিপি বলেন, ‘প্রতিদিন গুলি ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যেত। এখন ডিএমপি কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ এক সময় টেলিভিশন চ্যানেল দেখলে পালাত এখন একজন রাস্তায় দায়িত্ব পালন করা কনস্টেবলও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এখন ফ্লো অব নিউজ তৈরি করা হয়েছে পুলিশে।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘গুলশান বারিধারা এলাকায় কোনো চুরি ছিনতাই হয় না। কারণ ওই এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায়। গুলশান, বারিধারা, বনানী এলাকায় সাড়ে ১১শ’ সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে স্থানীয়দের সহায়তায়।
বিদেশের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘লন্ডনে ১৩ মিলিয়ন সিসি ক্যামেরা রয়েছে। শুধুমাত্র লন্ডন সিটিতে রয়েছে ১ মিলিয়ন সিসি ক্যামেরা। প্রতিটা লোকের গতিবিধি অনুসরণ করা হয়।’
পুলিশের আচরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুলিশে কেন দুর্নীতি থাকবে, কেনো ভুল বোঝা বুঝি হবে? পুলিশের আচরণ পরিবর্তনে কাজ চলছে। পুলিশ সদস্যদের আরও স্মার্ট হওয়ার আহ্বান জানান আইজিপি। করোনায় ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা হিসেবে পুলিশ সাংবাদিক একত্রে কাজ করেছে।’
২৫০ শয্যা পুলিশ হাসপাতালকে ১৫ শ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে পুলিশ সদস্য ছাড়া, সাধারণ মানুষও সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। করোনায় ৮৫ পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশের উন্নয়নে একযোগ কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের কাছে ভালো দেশ রেখে যেতে চাই।’
সারাবাংলা/ইউজে/একে