Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভ্যাকসিনেটেড হোন, নিজে বাঁচুন, দেশকে বাঁচান’

শাহীনূর সরকার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:৪২

ঢাকা: নিজের দেশ এবং পুরো পৃথিবীকে করোনামুক্ত করতে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটন লার্নিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মাসুদুল হাসান।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সারাবাংলা.নেটের বিশেষ আয়োজন সারাবাংলা ফোকাসে অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সারাবাংলা.নেটের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এম এ কে জিলানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের এ পর্বের বিষয় ছিল ‘করোনা ভ্যাকসিন কেনো নেব’।

অনুষ্ঠানে করোনার টিকা বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মাসুদুল হাসান। তিনি বলেন, ১৩৯টি দেশ এখনো টিকা পায়নি কিন্তু বাংলাদেশ পেয়েছে। এটি অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের কৃতিত্ব।

বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা দেওয়া হচ্ছে তা ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ কার্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি সাধারণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। আর ফাইজার ও মডার্নার টিকা পাশ্চাত্য দেশ ছাড়া সংরক্ষণ করা খুবই মুশকিল। কারণ এগুলো সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ৫০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। তাই আমাদের দেশের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।’

‘তবে টিকা দেওয়ার পর কেউ করোনা আক্রান্ত হবেন না, বিষয়টি এমন নয়। টিকা মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, যার কারণে শরীরে ভাইরাসের তীব্রতা কম থাকবে। ভ্যাকসিন দিলেই মনে করবেন না যে আপনি নিরাপদ। মাস্ক পরতেই হবে। যতদিন পর্যন্ত এটি পৃথিবী থেকে নির্মূল না হয়ে যায়, ততদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে’—বলেন মাসুদুল হাসান।

করোনার টিকার ডোজ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ দেওয়ার চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। এরমধ্যে দিতে না পারলে আট সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই দিতে হবে। না হলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ১৫-২০ দিন পর শরীরে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হতে থাকে বলে জানান মাসুদুল হাসান। তাই দ্বিতীয় ডোজের এক থেকে দেড় মাস পর অ্যান্টিবডি টেস্টেরও পরামর্শ দেন তিনি।

মাসুদুল হাসান বলেন, ‘করোনা টিকা নেওয়ার পরও যতক্ষণ শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি না হচ্ছে ততক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে। নতুন ধরনের ভাইরাসকে এই টিকা ঠেকাতে পারবে কি না তা এখনো জানা যায়নি। তাই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, মাস্কই হচ্ছে প্রথম ভ্যাকসিন।’

বয়স্কদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছেন মাসুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম। তবে ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সের সবাইকে অবশ্যই টিকা নিতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের ক্ষেত্রেও টিকা নেওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আশি বছরের উর্ধ্বে যারা আছেন এবং বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন তাদের টিকা না নিলেও চলবে।

অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রেও একই পরামর্শ তার। এছাড়া যারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন তাদের অভয় দিয়ে বলেন, ‘ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমেরিকাতেও প্রথমে মানুষ ভয় পেয়েছিল, কিন্তু এখন সবাই ভ্যাকসিন নিচ্ছেন।’

বাংলাদেশের মানুষের প্রতি মাসুদুল হাসানের আহবান, ‘ভ্যাকসিন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। আপনারা সবাই ভ্যাকসিনেটেড হন। নিজে বাঁচুন, দেশকে বাঁচান, সারা পৃথিবীকে করোনামুক্ত করুন।’

সারাবাংলা/এসএসএস/এমআই

করোনা ভ্যাকসিন সারাবাংলা ফোকাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর