পঞ্চম দফায় ভাসানচর গেল আরও দুই হাজার রোহিঙ্গা
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:৪৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মায়ানমারে সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া আরও দুই হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে পাঁচ দফায় সাড়ে ৮ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেল।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে পাঁচটি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা বোটক্লাব সংলগ্ন জেটি ছেড়ে যায়। মঙ্গলবার আরও ২ হাজার রোহিঙ্গার ভাসানচরে যাবার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক।
এর আগে, আরও চার দফায় ছয় হাজার ৫৭১ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। পঞ্চম দফায় ভাসানচরে নিতে ২৬৪ পরিবারের ২ হাজার ১২ জনের রোহিঙ্গা দলকে রোববার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। রাতযাপনের পর সোমবার ভোর থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের জাহাজে ওঠানো হয়। তবে ২ হাজার ১২ জনের মধ্যে দু’জন অসুস্থ বোধ করায় জাহাজ থেকে নেমে যান বলে জানা গেছে।
রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার পৌনে ১০টার দিকে ২ হাজার ১২ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু রওনা দিয়েছেন। পাঁচটি জাহাজে তাদের নেওয়া হচ্ছে। তারা যেন নিরাপদে ভাসানচরে পৌঁছতে পারেন সেজন্য নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। আগামীকাল আরও দুই হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাবে।’
এর আগে, প্রথম দফায় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন, দ্বিতীয় দফায় ২৮ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন, তৃতীয় দফায় ২৯ জানুয়ারি ১ হাজার ৬৬৭ জন এবং চতুর্থ দফায় ৩০ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৬৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
মায়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থান আছে কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে। ২০১৭ সালের আগস্টে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে, যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তুর ঠিকানা হয় বাংলাদেশ।
লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে সামাজিক নানা সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে নেওয়ার ব্যবস্থা করে সরকার। ১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে প্রায় ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে নৌবাহিনী।
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ