ঢাকা: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল অফিসার তাপসী রানী শিকদারকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশফাকুর রহমান ভুলু।
পি কে হালদারের আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধা, তার স্ত্রী তাপসী রানী শিকদার, কন্যা অনিন্দিতা মৃধাসহ পাঁচ জনকে আসামি করে দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দিন বাদী হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকায় মামলাটি দায়ের করেন।
অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২০ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৮৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখা এবং অর্জিত অর্থ স্থানান্তর, রুপান্তর ও হস্তান্তরের অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহার মতে প্রাপ্ত তথ্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, সুকুমার মৃধা তার অবৈধ অর্জিত অর্থ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের ১৪ পরগণার অশোক নগরে তার নিজ নামে স্ত্রী তাপসী রানী শিকদারের একক ও যৌথ নামে প্রায় ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন। তা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের অশোক নগরে তার ক্রয়কৃত জমিতে দুই তলা ভবন নির্মাণ করেছেন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবৈধ উৎস হতে অর্জিত নিকটবর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাচারের ক্ষেত্রে সুকুমার মৃধার ভাগ্নে স্বপন কুমার মিস্ত্রি প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে জানা যায়।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় যে, তাপসী রানী শিকদার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়াই ভারতের নাগরিকত্ব অর্জন করেন। তা ছাড়া সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিত মৃধারও রয়েছে দ্বৈত নাগরিকত্ব।
পি কে হালদারের আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধার স্ত্রী তাপসী রানী শিকদার বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রিন্সিপাল অফিসার সিএডডি (অপারেশন) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।