Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অভিজিৎ হত্যায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ফারাবীর যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:২০

ঢাকা: লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধানসহ ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলো— আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সাবেক মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস) ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ।

এছাড়া শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তারও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আদেশ দিয়েছে আদালত।

রায় ঘোষণার পর আসামি পক্ষের আইনজীবী খাইরুল ইসলাম লিটন, নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট হয়েছি, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো, আপিল করবো। আনসারুল্লাহ টিমের সঙ্গে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এটা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আনসারুল্লাহ টিমের সাথে আসামিদের কোন প্রকার সংশ্লিষ্ট ছিলোনা। আদালতে কোন আসামির বিরুদ্ধে এ কথা বলেনি। সাক্ষীরা কেউ বলেনি তারা হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষ কোনো সাক্ষী নেই। মামলাটিতে ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসকদের সাক্ষী করা হয়নি। শুধু মাত্র তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উপর ভিত্তি করে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আরও বলেন, ‘আসামি শফিউর রহমানের ফারাবীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। শুধু মাত্র তিনি ফেসবুকে এ বিষয়ে লেখালেখি করেছেন বলে। এর বাইরে তিনি কিছু করেননি।’

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু, গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, ‘রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট হয়েছে। আসামিদের অপরাধ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।’

ছয় আসামির মধ্যে মেজর জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক। বাকি ৪ আসামিকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ তারিখ ঠিক করেন। মামলাটিতে চার্জশিটভূক্ত ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২০১৯ সালের ১ আগস্ট পলাতক বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সারাবাংলা/এআই/এমও

অভিজিৎ অভিজিৎ হত্যা মামলা মৃত্যুদণ্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর