সর্বত্র বাংলা ভাষা: ৮ মাসেও পূরণ হয়নি মেয়র তাপসের প্রতিশ্রুতি
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:২২
ঢাকা: দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বত্রই বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেছিলেন তিনি।
সেই ঘোষণার পর সে বছরের মে মাসে মেয়র হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ তাপস। দায়িত্ব গ্রহণের পর পার হয়েছে ৮ মাস। তবুও কার্যকর হয়নি ডিএসসিসি এলাকায় বিদেশি ভাষার আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ করে বাংলা ভাষার প্রচলন।
সেসময় ডিএসসিসির নবনির্বাচিত মেয়র হিসেবে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, যেভাবে বাংলা ভাষার চর্চার ক্ষেত্রে মিশ্রণ দেখা দিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে এখনই সময় ব্যবস্থা নেওয়ার। সর্বত্রই যেন বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিন্তু বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডিএসসিসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বা কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মেয়র শেখ তাপসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিনুল্লাহ নুরী সারাবাংলাকে বলেন, অতীতে কি হয়েছে, না হয়েছে তা দেখতে চাই না। এবার আমরা কঠোর হচ্ছি। এরপর থেকে বিলবোর্ড সাইনবোর্ডগুলোতে বাংলা ভাষা না থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের সারাবাংলাকে বলেন, বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিতে ৮ মাসেও কেন কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি তা ঠিক জানি না। তবে গত সপ্তাহে এক সমন্বয় সভায় করপোরেশেনর ১০টি অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। যদিও সভায় এ বিষয়টি আলোচনার অংশ ছিল না। তবুও তিনি নিজ থেকেই এ বিষয়টি উপস্থাপন করেন এবং ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। এতেই বোঝা যায় তিনি বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবীব সারাবাংলাকে বলেন, আমরা সবাই জানি এদেশে যত প্রতিশ্রুতি সব দিবসকেন্দ্রিক। তাই সে বিষয়ে আর বেশি কিছু না বলে শুধু বলতে চাই- অন্তত এ দিবসকেন্দ্রিক হলেও যেন প্রতিশ্রুতিগুলোকে একটা প্রাধান্য দেওয়া হয়। বাস্তবায়ন করা হয়। তবে ভাষা ব্যবহার নিশ্চিতে এখন কঠোর হওয়া ছাড়া আর উপায় নেই। পাশাপাশি জনসচেতনতায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
সারাবাংলা/এসএইচ/এএম