ঢাকা: বীর শহিদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণের মধ্যে দিয়ে ফিনল্যান্ডে উদযাপিত হলো মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশটির বিভিন্ন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকির অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করেন।
প্রচন্ড ঠাণ্ডা আর তুষারপাতের মধ্যেও এই দিবসটি উদযাপনে বিদেশি অথিতি এবং বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত সুধীজন মহান ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগ ও আত্মজাগরণের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সংবাদ ২১ডটকমের সম্পাদক ভূইয়াঁ এন জামান উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে ফিনল্যান্ডে একটি স্থায়ী শহিদ মিনার স্থাপনে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এতে উপস্থিত বাংলাদেশিদের মধ্যে ছিলেন সালেহ আহমেদ, মাইনুল ইসলাম, মুজিব দপ্তরি, মহিবুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ কুদ্দুস, ইমাম হোসেন, ইভান ইসলাম, সাফিন আহমেদ, আজিজুল ইসলাম, সবুজ ও জহির উদ্দিন আহমেদ।
উপস্থিত বিদেশিদের মধ্যে ছিলেন ফিনল্যান্ডের এস্ট্রাইড, এলিনা ও ক্যারোলিন। আমেরিকান বু। রাশিয়ার ইগোর, অলি ও ইভান। এস্তোনিয়ার মেইলিস, ক্যাটলিন,মাইট ও এরভিন। ভারতের সিম্বা সিং। নেপালের বিসাল ও মদন আচারিয়া। গাম্বিয়ার মাইক, বাবু ও পেড্রিক। সোমালিয়ার আহমেদ। সেনেগালের মোম্বা ও জোম্বা। কেনিয়ার পেট্রিক। তানজানিয়ার উইনি। বাঙ্গুরার মোহাম্মেদ। নাইজেরিয়ার গিওর্গি। মরোক্কোর আহমেদ, হিসাম ও বারেক। কঙ্গোর এডলফ, আন্দ্রে ও ড্যানিয়েল।
এবারের আয়োজনে অন্যতম দিক ছিল প্রথমবারের মতো ফিনল্যান্ডের মূলধারার কোনো সংগঠন এই দিবসটি পালনে এগিয়ে আসা। আয়োজনের আয়োজক ছিল কোনটুলা আর্ট স্কুল এবং হেলসিংকি লাইব্রেরি।