‘নগদ’র কার্যকর গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়াল
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:৩৬
ঢাকা: দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’র কার্যকর গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়ে গেছে। একইসঙ্গে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার নতুন গ্রাহক ‘নগদ’র সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেশের একমাত্র সরকারি ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো রকম কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই প্রতিদিন প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার নতুন গ্রাহক ‘নগদ’র সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। মোবাইলে *১৬৭# ডায়াল করে পিন সেট করে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রযুক্তি চালু করার পর থেকেই ‘নগদ’এ নতুন গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যাপের মাধ্যমেও জাতীয় পরিচয়পত্রের ভেরিফিকেশন করিয়ে গ্রাহকেরা ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট খুলছেন।
অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সহজ করার পর থেকে ‘নগদ’ অ্যাপের ডাউনলোডও বেড়ে গেছে। ফলে গুগল প্লে স্টোরে ‘নগদ’ অ্যাপ এখন বাংলাদেশের মধ্যে টপ চার্টে অবস্থান করছে।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে যেহেতু গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, সুতরাং *১৬৭# ডায়াল করে গ্রাহক তার আগ্রহের কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজ থেকে গ্রাহকের তথ্য ভেরিফিকেশন করিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া শেষ করা হচ্ছে। নগদ’র উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তি ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাড়া ফেলেছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক দিনেই ‘নগদ’র প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহক। সরকারি ছুটির দিনগুলোতে সংখ্যা একটু কম হলেও গত দুই সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন দেড় লাখ নতুন গ্রাহক পেয়েছে ‘নগদ’। ফলে ‘নগদ’র কার্যকর গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ‘নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, শুরু থেকেই আমরা চেয়েছি খুব সহজে সারাদেশের মানুষের কাছে ‘নগদ’কে পৌঁছে দিতে। এক্ষেত্রে এক দিকে আমরা যেমন খরচ কমিয়েছি। অন্যদিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াকে সহজ করেছি। আমাদের মূল চাওয়া আর্থিক অন্তর্ভূক্তির ক্ষেত্রে ‘নগদ’ দেশের মানুষকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দেবে, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা আর্থিক লেনদেনের স্বাধীনতা পাবে। ইতোমধ্যে আমাদের চেষ্টা ফল দেখাতে শুরু করেছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে আমরা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এমএফএস অপারেটর হিসেবে পরিণত হব।
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং শিক্ষা উপকরণ ভাতা ‘নগদ’র মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। চলতি বছর সব মিলে প্রাথমিক পর্যায়ের এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে ভাতা ও উপবৃত্তি দেবে সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে বৃত্তি বিতরণে এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঘটনা। পাশাপাশি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৭৫ শতাংশ ভাতা ‘নগদ’র মাধ্যমে বিতরণ করবে সরকার। একইসঙ্গে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের আর্থিক প্রণোদনাও ‘নগদ’র মাধ্যমে বিতরণ করছে সরকার।
সারাবাংলা/এনএস