৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে কমিটি
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৪২
ঢাকা: তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থনৈতিক ক্ষতি (ধস) খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পুনর্গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে তাও খতিয়ে দেখতে এই কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কমিটি (বিআইএফসি), ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও পিপলস লিজিং লিমিটেড।
আদালতে এদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এর আগে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আজ নতুন করে কমিটি পুর্নগঠনের নির্দেশ দিলেন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটির তালিকা জমা দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খানকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান, দুই মহাব্যবস্থাপক কবির আহমেদ ও নুরুল আমিন। সদস্য সচিব করা হয়েছে উপমহাব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেনকে।
এদিকে আদালত আজ আরও দুইজনকে কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করতে নির্দেশ দেন। তারা হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব নুরুর রহমান। কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ধরনের অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না হয় এ জন্য পরামর্শ দেবে কমিটি। তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের ঘটনা খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে কমিটি। এছাড়া কমিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে কোনো বিভাগ, কর্মকর্তার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম