‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অংশীদার’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৫৭
ঢাকা: নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অংশীদার। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দুই দেশ জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরও দৃঢ় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার (২৪ ফেব্র্রুয়ারি) দুই মন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক সফরে ওয়াশিংটনে রয়েছেন। করোনা সংক্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট করতে দুদেশর রাজনৈতিক পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে সফর জরুরি, বৈঠকে এমন তথ্য জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বাইডেনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতের উন্নয়ন দেখতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেনও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এমন সময় এন্টনি ব্লিনকেন বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ঘনিষ্ট অংশীদার।
দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৈঠকের উদাহরণ টেনে এন্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘ওই বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যে জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে কাজ করেছে। দুদেশের মধ্যে নিরাপদ বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কাছে নীতি সহায়তা প্রত্যাশা করে।’
এমন সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং তথ্য-প্রযুক্তি খাতে (আইসিটি) আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গণতন্ত্র, শান্তি এবং প্রগতির উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করে যাবে, এই তথ্য জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীর কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবারও আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান। তিনি জানান, দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যাতে নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই