ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ জনকে হত্যা: ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৫৮
ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলায় ২০০৫ সালে এক গর্ভবতী নারীসহ চারজনকে হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন সোহেল ও রাজীব। তারা নিহতদের আপন ভাইয়ের ছেলে।
মামলার অপর আসামি পিয়াসকে (আত্মীয়) খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি পাঁচ আসামি বিচার শেষ হওয়ার আগেই মারা গেছেন।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
রায়ের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘স্বামী, স্ত্রী ও তার গর্ভে থাকা সন্তান এবং আড়াই বছরের এক শিশুকে হত্যার দায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীব কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আর অন্য এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে কনডেম সেলে থাকা দুই আসামিকে দ্রুত সাধারণ সেলে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক কোন্দলের কারণে ২০০৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় আক্তার হোসেন, তার গর্ভবতী স্ত্রী এবং আড়াই বছরের শিশু অর্না আক্তারকে নিহতের ভাই সিরাজুল ও তার সন্তানরা হত্যা করেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিরাজুলসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন বিচারিক আদালত। এরপর ২০১২ সালে হাইকোর্ট আটজনেরই মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এর মধ্যে বিচার শেষ হওয়ার আগেই পাঁচ আসামি মারা যান। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আসামিরা। দীর্ঘ নয় বছর পর আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগ ওই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করলেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম