Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুর্বৃত্তরাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে বাংলাদেশ: আ স ম রব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:১৮

ঢাকা: কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশ আজ দুর্বৃত্তরাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক ঘুণে ধরা শাসনব্যবস্থা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। এখনই সময় অমানবিক ও অনৈতিক এ শাসনব্যবস্থা উচ্ছেদ করা। কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার কারণে রাজনীতি বিবর্জিত এক বর্বর সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটেছে। বাংলাদেশ আজ দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নিজ বাসভবনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের কার্যকরী সভাপতি সা কা ম আনিছুর রহমান খান, মো. সিরাজ মিয়া, তানিয়া রব, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন বেলালসহ অন্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেএসডি পাঁচটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মূলে রয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের দর্শনের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেন্দ্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ এবং উপনিবেশিক প্রভুত্বমূলক শাসনব্যবস্থার বিপরীতে জনগণের অংশগ্রহণমূলক স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা।

জেএসডি’র বাকি লক্ষ্যগুলো হলো— ঐতিহাসিক ১০ এপ্রিল বা ১৭ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা; বাঙালি জাতীয়তাবাদকে আরও বিকশিত করে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত জাতিসত্তার সমকক্ষ করা; স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস জাতির সামনে উপস্থাপন করা; এবং অপশাসন, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জায়গায় গণমুখী, গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্যে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা।

আ স ম রব বলেন, এই পাঁচটি লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করাকে আমরা মৌলিক রাজনৈতিক কর্তব্য বলে চিহ্নিত করেছি। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাম্যের ভিত্তিতে নৈতিক ও মানবিক প্রজাতন্ত্র নির্মাণ করাই হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উজ্জ্বল স্বাক্ষর।

সংবাদ সম্মেলনে জেএসডি সভাপতি আরও বলেন, গত ৫০ বছরে রাষ্ট্র ও সমাজের বৈষম্য বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন। বাক, ব্যাক্তি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্রমাগত সংকুচিত হয়ে আসছে। ভোট চুরি, দুর্নীতি ও অপচয় শাসকদের অধিকারে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেএসডি আগামী ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বছরব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন করবে। এসব কর্মসূচির অন্যতম হচ্ছে ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস, ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক দিবস এবং ১০ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালন। দিবসগুলোতে নিউক্লিয়াসের ভূমিকা ও প্রবাসী সরকারের ভূমিকাসহ স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে জেএসডি।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

আ স ম আবদুর রব জেএসডি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর