মুশতাকের মৃত্যু তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:০২
ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার লেখক মুশতাক আহমেদের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে চার কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা-১ শাখা থেকে জারি করা এক আদেশে এই কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. তরুন কান্তি শিকদারকে আহ্বায়ক ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব আরিফ আহমদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে কমিটিতে। কমিটির বাকি তিন সদস্য হলেন— গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম, ময়মনসিংহের কারা উপমহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির ও গাজীপুর জেলা কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. কামরুন নাহার।
আদেশে বলা হয়েছে, কারাগারে হাজতি বন্দি মোশতাক আহমেদের মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল কিনা; ওই বন্দি কারাগারে আসার পর তার কোনো স্বাস্থ্যসমস্যার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ অবহিত ছিলেন কি না, এবং থাকলে সে বিষয়ে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল কিনা— তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে। এছাড়া উভয় ক্ষেত্রেই কোনো ধরনের গাফিলতি থাকলে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেও বলা হয়েছে। কমিটিকে আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উপসচিব মো. মনিরুজ্জামানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতি মোশতাক আহমেদ আচমকা সংজ্ঞাহীন (সাডেন আনকনশাসনেস) হয়ে পড়লে তাকে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই হাজতি বন্দির মৃত্যুর বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে আদেশে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারে বুকে ব্যাথা অনুভব হলে কারাবন্দি মোশতাক আহমেদকে শহিদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় কারা কর্তৃপক্ষ। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোশতাকের স্বজন-সহকর্মীরা বলছেন, কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোশতাক। ছয় ছয়বার জামিন আবেদন করলেও তা নাকচ করে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর