Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফতুল্লায় ৪ শ্রমিক হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:২৮

নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লার বক্তাবলীতে চার বাল্কহেড শ্রমিক হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৭ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন সাত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাল্কহেডের দুই ফিডারম্যান (ইঞ্জিনমিস্ত্রী) তাজুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন। মামলায় ১২ আসামির মধ্যে চারজন এখনও পলাতক। একজন মারা গেছেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন আসামিদের স্বজনরা। রায়ের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জানান, ২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর শাহপরাণ নামের বাল্কহেড সিলেট থেকে পাথর বোঝাই করে মুন্সীগঞ্জে একটি সিমেন্ট কারখানায় যায়। সেখানে পাথর খালাস করে ২১ সেপ্টেম্বর বাল্কহেডটি ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে থেমে যায়। পরে বাল্কহেডটি মেরামত করার জন্য এর চালক দুই ফিডারম্যান তাজুল ইসলাম ও মহিউদ্দিনকে ফোন করে ডেকে আনেন। মেরামত শেষে বাল্কহেডটি সচল হলে দুই ফিডারম্যান সেটি পরীক্ষা করার কথা বলে রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকাতদের যোগসাজশে বক্তাবলীর চরে নিয়ে থামিয়ে দেয়। ওইদিন রাতের কোনো এক সময় দুই ফিডারম্যান সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে চালক নাসির মিয়া, কর্মচারি মঙ্গল, ফয়সাল ও হান্নানকে হাত পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। পরে মেঘনা নদী থেকে হাত পা বাঁধা ও গলাকাটা অবস্থায় নাসির এবং মঙ্গলের লাশ উদ্ধার হলেও ফয়সাল ও হান্নান নামের অপর দুই শ্রমিক নিখোঁজ থাকেন। পরে বাল্কহেডটি বক্তাবলীর চর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশ জব্দ করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরদিন ২০০৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাল্কহেডটির মালিক এরশাদ মিয়া ফতুল্লা থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ দুই ফিডারম্যান তাজুল ইসলাম ও মহিউদ্দিনসহ সাত আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে ও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক বদরুল আলম আসামিদের জবানবন্দির ভিত্তিতে ২০০৯ সালের ২৬ মার্চ ১২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত যুক্তিতর্ক ও ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় প্রদান করেন।

বাংলাদেশ কার্গো বাল্কহেড ও ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বেপারী জানান, হত্যার সঙ্গে জড়িত সকলের মৃত্যুদণ্ড হলে এই রায় পরিপূর্ণ হতো।

সারাবাংলা/এএম

নারায়ণগঞ্জ

বিজ্ঞাপন

বাঘায় কৃষককে গলা কেটে হত্যা
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর