বন্যপ্রাণী রক্ষায় বঙ্গবন্ধু পদক পাচ্ছেন ২ ব্যক্তি, ১ প্রতিষ্ঠান
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:২৫
ঢাকা: প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী ব্যক্তি ও সংস্থাকে জাতীয়ভাবে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তিনটি ক্যাটেগরিতে ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ দেওয়ার জন্য দুই ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ৫ জুন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৃক্ষমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই পদক তুলে দেওয়া হবে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০২০ পদক দেওয়ার লক্ষ্যে মনোনয়ন চূড়ান্তের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বন্যপ্রাণী উপদেষ্টা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, খ্যাতিমান গবেষক, বিজ্ঞানী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী ব্যক্তি ও গণমাধ্যম কর্মী/ব্যক্তিত্ব ক্যাটাগরিতে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বন সংরক্ষক এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) বাংলাদেশের প্রাক্তন কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ মনোনীত হয়েছেন। বন্যপ্রাণী বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড মোহাম্মদ ফিরোজ জামান এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ১২ নম্বর নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের আশুরহাট পাখি সংরক্ষণ সমিতি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ এর প্রতিটি শ্রেণিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ২ ভরি (২৩.৩২ গ্রাম) ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ ও পঞ্চাশ হাজার টাকার একাউন্ট পে-ই চেক এবং সনদপত্র দেওয়া হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন অবিবেচনাপ্রসূত কাজের ফলে শুধুমাত্র বন্যপ্রাণী অবলুপ্ত হচ্ছে তা নয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্যও বিঘ্নিত হচেছ। বন্যপ্রাণীর প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন ও সংরক্ষণে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন জারি করেছিলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। এই কাজে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালেয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিফতরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এবং আইইউসিএনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রাকিবুল আমিনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কমিটির অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ