আমরা চাই বিমা খাতে মানুষ আস্থাশীল হোক: প্রধানমন্ত্রী
১ মার্চ ২০২১ ১৪:২৭
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন বিমা খাতে অনেক আধুনিক পদ্ধতি এসেছে। তাছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশে, আপনারা (বিমাখাত সংশ্লিষ্টরা) ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে করতে পারেন বিমা সেবা দেওয়ার জন্য। যেটা বিমা প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে, প্রিমিয়াম দেওয়া শুরু থেকে অন্য সর্বক্ষেত্রে। আমরা চাই বিমা সম্পর্কে মানুষ আরও আস্থাশীল হোক।
সোমবার (১ মার্চ) সকালে ‘জাতীয় বিমা দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিমাখাতে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি এবং তার ওপর নির্ভর করতে পারি। সেই দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। যাতে বিমার পরিধি বৃদ্ধি পায় এবং মানুষের একটা সহায়ক শক্তি হিসেবে বিমা কাজ করে। সত্যি কথা বলতে কি এখন তো আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে।’
স্বাস্থ্যবিমা চালু করা আরও একান্তভাবে প্রয়োজন বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যেটা নিয়ে এখন আমাদের দেশের মানুষ সচেতন না। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে সেই সচেতনতা সৃষ্টি হবে। যার জন্য আমাদের বিমা উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তা আরও কার্যকর করার দরকার। যাতে বিমার পরিধি বৃদ্ধি পায় এবং মানুষের একটা সহায়ক শক্তি হিসেবে এটা কাজ করে।’
বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, জীবন বিমা করপোরেশন, সাধারণ বিমা করপোরেশন ইন্স্যুরেন্স একাডেমির সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অটোমেশনের জন্য ৬৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের গ্রহণ করেছে এবং তার কাজ চলমান রয়েছে বলেও অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সব থেকে অভাব হচ্ছে, আমাদের কোনো একচুয়ারি নেই। আমাদের বিমাটাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য লন্ডন থেকে একজন একচুয়ারি নিয়ে এসে এখানে দিয়েছিলাম। এছাড়া এখনও এ ব্যাপারে আমাদের যারা পড়াশোনা করেন, তারা পড়াশোনার সাথে সাথে বিদেশে চাকরি পেয়ে দেশের কথা ভুলে যান; এটাই হচ্ছে বাস্তব কথা। কিন্তু বিমাকে আরও দক্ষ করতে হলে আসলে একচুয়ারি দেওয়ার প্রয়োজন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একচুয়ারি সম্পর্কে যারা শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং ট্রেনিং নিবে, সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবো এবং উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্যে পাঠানো হবে। আমি জানি তারা শিক্ষা নিলে ওখানেই বড় মাপের চাকরি পেয়ে যাবে কিন্তু এখানে তাদের অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে, যে দেশে ফিরে এসে দেশের জন্য কাজ করবে এবং তাদের শিক্ষার টাকাটা আমরাই দেবো, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘ইতিমধ্যে আমরা ৫ জন শিক্ষার্থীকে সুনির্দিষ্ট করেছি। যাদের আমরা পাঠাবো একচুয়ারির ওপর শিক্ষা গ্রহণ এবং তারা দেশে ফিরে এসে বিমাশিল্পে কাজ করবে করবেন। দেশের জন্য আরও বেশি দক্ষ মানুষ তৈরি করবে, সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি দেশের মানুষ ভালো থাকুক। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ একদিন উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন আমরা সফল করবো।’
সারাবাংলা/এনআর/এমও
জাতীয় বিমা দিবস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমা সেবা শেখ হাসিনা