৯৯৯-এ কল পেয়ে মর্টার শেল উদ্ধার, নিষ্ক্রিয় করলো সেনাবাহিনী
১ মার্চ ২০২১ ১৮:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কর্ণফুলী নদীতে জেলেদের জালে আটকে উদ্ধার হওয়া একটি মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে মর্টার শেল পাওয়ার তথ্য পেয়ে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল।
সোমবার (১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকার এস আলম বালুর মাঠে সেটির বিস্ফোরণ ঘটায় সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ সারাবাংলাকে জানান, গত শনিবার বিকেলে কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং বোটে করে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের জালে মর্টার শেলটি আটকে যায়। প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের মর্টার শেলটি তারা লোহার সিলিন্ডার ভেবেছিলেন। ইছানগর এলাকায় একটি ভাঙ্গারির দোকানে শনিবার রাতে তারা সেটি বিক্রি করতে যায়। কিন্তু ভাঙ্গারির দোকানের মালিক দেখেই বুঝতে পারেন যে, সেটি বিস্ফোরক জাতীয় কিছু। তখন তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি জানান।
‘খবর পেয়ে আমরা ওই দোকানে গিয়ে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে ইছানগরে এস আলম বালুর মাঠে নিয়ে যাই। গতকাল (রোববার) সিএমপির বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট ও সোয়াট টিম গিয়ে সেটি পরীক্ষা করে। কিন্তু মর্টার শেলটি এত উচ্চক্ষমতার সক্রিয় বিস্ফোরক যে, সেটি তাদের পক্ষে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব ছিল না। সেজন্য আমরা সেনাবাহিনীকে চিঠি দিই। আজ (সোমবার) সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে টিম এসে সেটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছে।’ বলেন ওসি।
মর্টার শেলটি দীর্ঘদিনের পুরনো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত মুক্তিযুদ্ধের সময় সেটি নদীতে ফেলা হয়। অথবা এরও আগে হতে পারে। তবে সেটি এতই শক্তিশালী যে বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরণস্থলে প্রায় সাত ফুট গর্ত হয়ে গেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক আকরাম হোসেন রানা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আলাউদ্দিন নামে একজন জেলের জালে মর্টার শেলটি আটকা পড়েছিল। উনি সেটাকে লোহার কোনো সিলিন্ডার ভেবে ভাঙারি দোকানে নিয়ে গিয়েছিলেন। আজ (সোমবার) ইছানগর বালুর মাঠে সেটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সেখানে গ্রামের শত, শত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বিস্ফোরণের সময় বিকট শব্দ হয়েছে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও