পিসি রোডের কাজ শেষ করতে এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিলেন রেজাউল
১ মার্চ ২০২১ ২১:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর বহুল আলোচিত পোর্ট কানেকটিং (পিসি) সড়কের সংস্কারসহ নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য এবার এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন নতুন দায়িত্ব নেওয়া সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সড়কের কাজ শেষ করতে না পারার মধ্যেই বিদায় নেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এরপর ছয় মাসের জন্য প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া খোরশেদ আলম সুজন সড়কটির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ শেষ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নিয়েছেন সুজনও।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপেরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নেওয়া রেজাউল করিম চৌধুরী সোমবার (০১ মার্চ) প্রথমবারের মতো পিসি রোড পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি দেশের অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত এই সড়কের এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার জন্য প্রকৌশল বিভাগ এবং ঠিকাদারদের নির্দেশ দেন।
সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আমলে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জাইকার অর্থায়নে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুনে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয়নি। আগস্টে বিদায় নেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এরপর আসেন চসিকের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। দায়িত্ব পালনের সময়ে তিনি ত্রিশবারেরও বেশি সড়কটি পরিদর্শনে যান। নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে কাজে কিছুটা গতি আনলেও শেষ দেখে যেতে পারেননি তিনি। দায়িত্ব শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সড়কটির কাজে বিলম্বের জন্য ঠিকাদারদের গাফেলতিকে দায়ী করেন।
চসিক সূত্র জানিয়েছে, পিসি রোডকে চারটি অংশে ভাগ করে তিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- তাহের ব্রাদার্স, ম্যাক করপোরেশন ও রানা বিল্ডার্স। তাহের ব্রাদার্সের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। রানা বিল্ডার্স ও ম্যাক করপোরেশনের কাজ এখনো বাকি।
পরিদর্শনের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা মেয়র রেজাউলকে জানান, বর্ষার আগে কাজ শেষ না হলে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে।
এসময় ঠিকাদারদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘অতীতে কি করেছেন ভুলে যান। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করে জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে আমি কাউকে ছাড় দেব না।’
তিনি বলেন, ‘ঠিকমতো কাজ না করলে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। কেউ যদি মৌখিকভাবে দোষ স্বীকার করে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়, সুযোগ দেওয়া হবে। সামনে বর্ষা, নতুনভাবে কাউকে কার্যাদেশ দিয়ে কাজ করাতে গেলে সময়ক্ষেপণ হবে। চেষ্টা করছি, যারা কাজ পেয়েছে তাদের থেকে কাজ আদায় করতে। না করলে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
মেয়রের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. ইসমাইল করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজম্মেল হক, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ ও সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাহাদাত মো. তৈয়ব ও আশিকুল ইসলাম ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই