‘৪০ শতাংশ পোশাক শ্রমিক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন’
৬ মার্চ ২০২১ ১৬:০৫
ঢাকা: দেশের ৪০ শতাংশ পোশাক শ্রমিক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন— এমন তথ্য উঠে এসেছে এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) এক জরিপ প্রতিবেদনে। শনিবার (৬ মার্চ) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এক হাজারের বেশি শ্রমিকের ওপর এই জরিপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসিডি’র বিভিন্ন কর্মকর্তা ও পোশাক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘এ সার্ভে রিপোর্ট অন দ্যা গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৪০ শতাংশ পোশাক শ্রমিক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এরমধ্যে ফেসবুক ব্যবহার করেন ৩৩.৩ শতাংশ। শ্রমিকদের মধ্যে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩২.৫ শতাংশ, ইমো ৩৩ শতাংশ, হোয়াটসঅ্যাপ ৪.৭ শতাংশ ও ভাইবার ২.১ শতাংশ।
এছাড়াও শ্রমিকদের মধ্যে মাসিক ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার প্রবণতা রয়েছে ৮৬.৫ শতাংশের। ৭ দিনের প্যাকেজ কেনেন ৭.৫ শতাংশ, ১৫ দিনের ৩.৩ শতাংশ ও বিশেষ সময় বা উৎসবে ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনেন ৩.৫ শতাংশ পোশাক শ্রমিক।
জরিপে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে ৬৭.২ শতাংশ শ্রমিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্যে বিকাশের ব্যবহারকারী ৪২.৬ শতাংশ ও নগদের ৩.১ শতাংশ।
জরিপের তথ্য বলছে, দেশের গার্মেন্টস খাতে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা ১৫.৬ শতাংশ। এর মধ্যে ব্যবস্থাপনার ৮৪ শতাংশ শ্রমিকই বিদেশি। মার্চেন্ডাইজিংয়ে ৮ শতাংশ, টেকনিক্যাল অপারেশনে ১৬ শতাংশ, কাটিং ও ডিজাইনিংয়ে ৪ শতাংশ এবং অন্যান্য পদে ৮ শতাংশ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছে।
এছাড়া, গার্মেন্টেসে ৭৪ শতাংশ শ্রমিকই বিবাহিত, ২৫ শতাংশ শ্রমিক অবিবাহিত এবং ১ শতাংশ শ্রমিক বিবাহের পরও আলাদা থাকেন। একইসঙ্গে শ্রমিকদের মধ্যে ২৭.৯ শতাংশ পুরুষ এসএসসি কিংবা এইএচসি পাস করেছেন। আর নারীদের মধ্যে এই হার ১৫.৪ শতাংশ। ৪.৮ শতাংশ পুরুষ শ্রমিকের ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে, নারীদের মধ্যে এই হার ১.৫ শতাংশ।
এদিকে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের ব্যবধানে দেশের পোশাক খাতে বছরে শ্রমিক বৃদ্ধির হার মাত্র ১.০৭ শতাংশ। এরমধ্যে পুরষ শ্রমিকের বৃদ্ধির সংখ্যা ৪ শতাংশ। বিপরীতে নারী শ্রমিক কমেছে ০.৭ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৫ সালে পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯১ হাজার থাকলেও ২০২০ সালে তা নেমে এসেছে ২৪ লাখ ৯৮ হাজারে। জরিপের তথ্য বলছে, দেশে পাঁচ বছরে পোশাক খাতে নারী শ্রমিক কমেছে ৯৩ হাজার।
ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জরিপের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) ড. এ কে এম এনামুল হক। জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম ও সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান যুক্ত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও
ইন্টারনেট ব্যবহার এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট পোশাক খাত পোশাক শ্রমিক