কোম্পানিগঞ্জে আ.লীগের সংঘর্ষ: সাবেক চেয়ারম্যান বাদল কারাগারে
১২ মার্চ ২০২১ ১৭:৪৩
নোয়াখালী: নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জের সংঘর্ষের ঘটনায় কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১নং বিচারিক আমলি আদালতের বিচারক শোয়াইব উদ্দিন খান এ আদেশ দেন। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চাপরাশির হাটে পুলিশের ওপর হামলা ও বাধা দেওয়ার মামলায় তাকে আসামি দেখানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় সাদা পোশাকের একদল লোক নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে বাদলকে তুলে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ২ মাস ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র মির্জা কাদেরের সঙ্গে জেলা ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের বিরোধে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে পৃথক পৃথক এলাকায় দুইবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ১৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে চাপরাশিরহাটে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এরপর ৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় বসুরহাট রুপালী চত্বরে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে। সমাবেশ চলাকালীন সময় মির্জার অনুসারিরা জেলা আওয়ামী লীগের বরাত দিয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার পরও কেন সমাবেশ হচ্ছে এ কথা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এরই জেরে রাত ১০টায় বাদলের অনুসারিরা বসুরহাট পৌর ভবনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে সিএনজি চালক আলাউদ্দিনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সারাবাংলা/এমও