‘মানুষকে ভালবাসতে হবে ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে’
১৪ মার্চ ২০২১ ১৮:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষকে ভালোবাসা ও সেবার তাগিদ এসেছে চট্টগ্রামে কারিতাস আয়োজিত এক আলোচনা সভায়, যাতে চার ধর্মের অনুসারীসহ বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য রাখেন।
রোববার (১৪ মার্চ) কারিতাস, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কার্যালয়ে ‘বিধাতায় বিশ্বাসী হই নতুন দিনের আশায়, দরিদ্রদের সেবা করি গভীর ভালবাসায়’- এ মূল সুরের আলোকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কারিতাসের ত্যাগ ও সেবা অভিযান উপলক্ষে আয়োজিত এ সভায় মূলসুরের আলোকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইসলাম, সনাতন, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্ট ধর্মের চার বিশিষ্টজন।
সভায় ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা বলেন, ‘সর্ব ধর্মই মানুষের সেবার কথা বলে, মানবতার অমিয় বাণী প্রচার করে। আর মানবের কল্যাণের জন্য ত্যাগ ও সেবার ন্যায় ভালো কাজ আর হতে পারে না। ত্যাগের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে পরিপূর্ণ করতে পারি। সকল ধর্মেই যে বিষয়টি সবচাইতে বেশি বলা হয়েছে তা হলো মানুষকে ভালোবাসা ও প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের সেবা করা। যিনি যতবেশি প্রতিবেশি ও দরিদ্রদের ভালবাসাপূর্ণ সেবা দিতে পেরেছেন এবং আত্মত্যাগী হয়েছেন, তিনিই যুগে যুগে মহান হয়েছেন।’
তারা বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার ভালবাসা লাভের অন্যতম উপায় হলো দরিদ্র প্রতিবেশীর বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করা। পৃথিবীতে আমরা যেভাবেই বা যে পরিবারেই জন্ম গ্রহণ করি না কেন সবাই আমরা ভাইবোন। খাঁটি ও মুক্তমনের মানুষ কখনো সাম্প্রদায়িক বা ধর্মান্ধ হতে পারে না। মানুষকে সেবা দিতে হবে ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্দ্ধে উঠে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্দ্ধে উঠে। শান্তির সমাজ গড়তে এর বিকল্প নেই।’
ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- চট্টগ্রামের ক্যাথিড্রাল প্যারিসের ফাদার পিন্টু কস্তা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নুর হোসাইন ও পালি বিভাগের অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু এবং ধর্মীয় তাত্ত্বিক স্বদেশ চক্রবর্তী।
কারিতাস চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক রিমি সুবাস দাশের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আর্চডায়োসিসের প্রশাসক লেনার্ড সি রিবেরু, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, উন্নয়ন সংস্থা মমতার প্রধান নির্বাহী রফিক আহমদ, লিটন গোমেজ, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার।
অনুষ্ঠানে কারিতাসে কর্মী হিসেবে ১০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত কর্মরত ৩৩ জনকে লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/আরডি/এমও