স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: যক্ষ্মা চিকিৎসায় সরকারের সাফল্য অাশাব্যঞ্জক হলেও রোগ শনাক্ত করতে জটিলতার কারণে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও ব্রাক যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের অায়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা আরও বলেন, যক্ষ্মা প্রতিরোধে বাংলাদেশে অাশাব্যঞ্জক সাফল্য এসেছে। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জন সচেতনতার পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘যক্ষ্মারোগ এখন গ্রাম থেকে শহরে বেশি। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, শহরে মানুষের গণবসবাস। যেহেতু বায়ুর মাধ্যমেই এ রোগটা একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায়। সুতরাং শহরে মানুষের মধ্যে এ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় যক্ষ্মানিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি)-র তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সালে এনটিপির মাধ্যেমে দেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছরের কম বয়সী যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯ জন। দেশে এখন চরম ঔষধ প্রতিরোধী রোগীর সংখ্যা ১২ জন।
তারপরও যক্ষ্মা রোগীদের ৮০ শতাংশই শনাক্তের বাইরে থাকছে। অার সকল ধরণের যক্ষ্মায় চিকিৎসার অাওতার বহির্ভুত থাকছে ৩৩ শতাংশ। তবে শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও জীবণুযুক্ত ফুসফুসে যক্ষ্মার চিকিৎসারর ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশ সন্তোষজনক বলেও উল্লেখ করেন তারা।
যক্ষ্মা শনাক্ত ও এমডিঅার রোগী শনাক্তের বড় সমস্যা হচ্ছে-যে সংখ্যক জিন এক্সপার্ট মেশিন থাকার কথা, তা নেই। তা ছাড়া সচেতনতার অভাব ও চিকিৎসা ব্যয় বেশি বলে অনেকের পক্ষে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া সম্ভব হয় না।
অাগামী ২৪ মার্চ জাতীয় যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত জনসচেতনতায় ব্যালী করা হবে বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট ডা. মো. অাবুল খায়ের বাশার।
সংবাদ সম্মেলনে অারও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. এডউইন সালভাদর, নাটাব এর প্রেসিডেন্ট মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, অাইসিডিডিঅারবি এর বিজ্ঞানি ডা. সায়রা বানু, ব্রাকের পরিচালক ড. মো. অাকরামুল হক।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই