স্বাধীনতা দিবসে পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা, সংবাদ সম্মেলন কাল
২৪ মার্চ ২০২১ ১৮:২২
ঢাকা: ২৬ মার্চ। ৫০ বছরে পা রাখবে বাংলাদেশ। নানা আয়োজনে দেশব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে। এদিন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে সরকার। সেইসঙ্গে প্রকাশ করা হবে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকাও। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এর বিস্তারিত তুলে ধরবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বুধবার (২৪ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ সুফী মারুফের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা (প্রথম পর্যায়) প্রকাশের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে গেল সপ্তাহে এর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওইদিন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে হয়তো কিছু বাদ থাকবে। সেগুলো তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। বাদ পড়ার পর কেউ অভিযোগ দায়ের করেছে কিংবা আপিল করেছে সেগুলো আপাতত বাদ থাকবে। তদন্ত নিষ্পত্তি হলে সেসব নাম তালিকায় যুক্ত করা হবে। তবে এই বাদ থাকাদের সংখ্যা সাারাদেশে তিন থেকে চার
হাজারের বেশি হবে না।
গত ৬ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি সময় নির্ধারণ করা হয়। পরে তা বাড়িয়ে ৩০ জানুয়ারি করা হয়।
সূত্র জানায়, যাচাই কার্যক্রম তদারকির জন্য একটি সেল গঠন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) আট কর্মকর্তাকে আট বিভাগ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে সারাদেশে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি যাচাই-বাছাই কমিটি করা হয়েছে। সারাদেশে একযোগে জামুকার সুপারিশ ছাড়া যাদের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তাদের মধ্য থেকে ৩৯ হাজার ৯৬১ জনের তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল। জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে এরই মধ্যে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৩৮৬ জনে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, এখন নতুন করে কোনো মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় যুক্ত করার সুযোগ নেই। যারা বাদ পড়েছেন তারাও নতুন করে আবেদন করতে পারবেন না। তবে ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যেসকল বীর মুক্তিযোদ্ধা জামুকায় আবেদন করেছেন তাদের আবেদনগুলোর শুনানি হবে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম