মামুনুলদের কথা এত শুনতে হবে কেন: ওয়ার্কার্স পার্টি
২৪ মার্চ ২০২১ ২০:৫১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সুনামগঞ্জের শাল্লায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বসতঘরে হামলা-লুটপাটের জন্য হেফাজত নেতা মামুনুল হক ও তার অনুসারীদের দায়ী করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার নেতারা। বাঁশের লাঠি তৈরি করে হেফাজত-জামায়াত খতমের আহ্বান জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগি চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান বলেন, ‘দেশে একদিকে স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে নানাভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার গত ৫০ বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হচ্ছে। ক্ষমতার জন্য আজ সাম্প্রদায়িক শক্তির তোষামোদ করা হচ্ছে, যে শক্তি বাংলাদেশকে একাত্তরের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আজ ধর্মীয় সংখ্যালঘু এমনকি পাহাড়িরাও হামলা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শাল্লায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা হয়। কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলা? যাদের আমরা একাত্তরে পরাজিত করেছি, তারা কিভাবে আবারও ফণা তোলে?’
শাল্লায় হামলার জন্য মামুনুল হককে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘মামুনুল হক বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে দিতে চেয়েছিল। এই ব্যক্তি নিয়মিত বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। স্পষ্ট জানতে চাই, মামুনুল হক গংদের শক্তির উৎস কোথায়? কোন শক্তির বলে বাংলাদেশের বিরোধিতা করে? কোন শক্তির বলে তারা সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস চালায়? সরকার কেন মামুনুলদের সঙ্গে আপস করে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করেছে? মামুনুলরা তো মুক্তিযুদ্ধ করেনি, তারা তো কখনো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কথা বলে না। তাহলে তাদের কথা সরকারকে কেন এত শুনতে হচ্ছে?’
হেফাজতকে জামায়াতে ইসলামীর নতুন সংস্করণ মন্তব্য করে চৌহান আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকার জন্য যে বিষধর সাপকে দুধকলা দিয়ে পোষা হচ্ছে, সেই সাপ এখন ছোবল মারতে শুরু করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব দলকে মৌলবাদের বিরুদ্ধে এক হতে হবে। বাঁশের লাঠি নিয়ে সংগ্রামে নামতে হবে, জামায়াত-হেফাজতকে খতম করতে হবে। বাংলাদেশবিরোধী সব শক্তির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।’
ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সদস্য সুপায়ন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোক্তার আহমেদ, যুব মৈত্রীর সহসভাপতি মো. মহসীন, পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের সহসাংগঠনিক সম্পাদক এলিন চাকমা, ছাত্র মৈত্রী চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক মো. আলাউদ্দিন।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর