Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঋণ পরিশোধে আবারও বিশেষ সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ মার্চ ২০২১ ১২:০৪

ঢাকা: অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় চলতি ও তলবি ঋণ পরিশোধে আবারও বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সুবিধা অনুযায়ী ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের বকেয়া সুদ ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত ছয়টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।

বুধবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি ‘ঋণ শ্রেণিকরণ’ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি সকল তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একই সঙ্গে ২০২০ সালের তলবি ঋণের কিস্তি ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটি ত্রৈমাসিক সমান কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী উল্লেখিত নিয়মে ঋণের সুদ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করলে তাদের শ্রেণিকরণ বা খেলাপি করা হবে না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ শ্রেণিমান যা ছিল তাই থাকবে। তবে, কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে। দেশের অর্থনীতিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা এবং রফতানি বাণিজ্যের ক্ষতি রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, তলবি প্রকৃতির ঋণ বা বিনিয়োগসমূহ চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আটটি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধিত হলে ঋণ শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

উল্লিখিত, নিয়মে কোনো ত্রৈমাসিকে প্রদেয় কিস্তি পরিশোধিত না হলে ওই ত্রৈমাসিক হতে এ সুবিধা বাতিল হিসেবে গণ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যথানিয়মে ঋণ বা বিনিয়োগ শ্রেণিকরণ করতে হবে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়। উল্লিখিত চলমান ও তলবী ঋণসহ মেয়াদী ঋণের বিপরীতে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা হলে ঋণ বা বিনিয়োগসমূহ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

এছাড়া অন্যান্য ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা এবং বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রণোদনা প্যাকেজের নীতিমালা অনুসরণীয় হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনায় সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঋণগ্রহীতাদের চাপ কমাতে গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের ওপর বিশেষ ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে গত এক বছর কিস্তি না দিলেও কোনো গ্রাহক খেলাপি হননি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/এমআই

ঋণ ব্যাংক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর