করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জন মারা গেছেন। এ বছরে একদিনে এত বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা যাননি। কেবল এ বছর নয়, গত ২০ ডিসেম্বরের পর থেকেই এটি একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। সে হিসাবে ৯৫ দিন পর একদিনে এত বেশি মানুষ মারা গেছেন করোনা সংক্রমণ নিয়ে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণও আগের দিনের চেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন তিন হাজার ৫৬৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৫৮৭ জন। এ নিয়ে প্রায় ৯ মাস পর টানা তিন দিনের মতো করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড ইউনিটের পরিচালক ডা. মো. ইউনুসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি আরটি-পিসিআর, জিন-এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন মিলিয়ে মোট ২২২টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ৩২৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৫টি। এখন পর্যন্ত একদিনে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা। এর আগে, গতকাল বুধবার (২৪ মার্চ) ২৭ হাজার ৫০২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, এর মধ্যে ৩ হাজার ৫৮৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৫ জনের মধ্যে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেন ৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৪ জন। সংক্রমণ শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৪ জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন, তা নিয়ে দেশে মোট ৮ হাজার ৭৯৭ জন মারা গেলেন। এই ৩৪ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩৩ জন হাসপাতালে মারা গেছেন, একজন বাসায়।
মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ১৮ জন ষাটোর্ধ্ব, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর। বাকিদের মধ্যে দু’জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর। ১১ থেকে ২০ বছর, ২১ থেকে ৩০ বছর ও ৪১ থেকে ৫০ বছরের একজন করে মারা গেছেন। এদিন মৃতদের মধ্যে ২৭ জন ঢাকা বিভাগের, তিন জন চট্টগ্রাম বিভাগের। এছাড়া খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ৬৫ লাখ ২৬ হাজার ৫৩৮ জন। অন্যদিকে, গতকাল বুধবার (২৪ মার্চ) পর্যন্ত দেশে এই ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা পেরিয়ে গেছে অর্ধ কোটি— ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯ জন।