‘দেশকে মুক্তকরতে মুক্তিযোদ্ধারা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন’
২৭ মার্চ ২০২১ ২০:৫৮
ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কোনো চাওয়া-পাওয়া থেকে নয়, দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাগণ মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে হানাদার বাহিনীর বিরূদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।’
স্পিকার শনিবার (২৭ মার্চ) পীরগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
নিজের ও তাদের পরিবারের কথা না ভেবে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অস্ত্রহাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা। ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল, রাজশাহীর কাটাখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন পীরগঞ্জবাসী নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন স্পিকার।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সশ্রদ্ধ সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ চব্বিশ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুম-অত্যাচার সব কিছু সহ্য করেও বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অবিচল ছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাগণ যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন বলে আজ বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে। বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।’
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। আজকের বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। রূপকল্প ২০২১-এর যে অঙ্গীকার নিয়ে সরকার যাত্রা শুরু করেছিল তা বাস্তবায়নের পথে। মুজিববর্ষে নয় লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সমগ্র বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাগণকে সম্মানিত করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শেখ হাসিনার সরকার।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান রাঙ্গার সভাপতিত্বে এবং পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মো. নুরুল হক, আব্দুল হাদী, আব্দুর রব, মো. ফজলার রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মো. নুরুল ইসলাম, মো. জিল্লুর রহমান সরকারসহ ৬৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন স্পিকার। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম নয়নসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই