Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বইমেলায় বইয়ে নেই আগ্রহ, আড্ডায় মশগুল দর্শনার্থীরা

সুশোভন অর্ক, নিউজরুম এডিটর
২৮ মার্চ ২০২১ ২১:৫৭

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বইমেলার শুরু থেকেই ছিল পাঠক, ক্রেতা এবং দর্শনার্থী সংকট। রোববার (২৮ মার্চ) মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল এবারের অন্যদিনের মতোই কম। বেশিরভাগ দর্শনার্থী ছিলেন আড্ডায় মশগুল, স্টলগুলো ছিল ফাঁকা।

এদিকে মেলায় প্রবেশের সময় স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ি থাকলেও মেলার ভেতরে তার ছিটেফোঁটাও ছিল না। দর্শনার্থী কিংবা বিভিন্ন স্টলে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী, মাস্ক ব্যবহারের ব্যাপারে সবাই ছিলেন উদাসীন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে কয়েকদিন আগেই পরিবর্তিত হয় লিটলম্যাগ চত্বরের স্থান। নতুন স্থানে আসার পর অনেক স্টলের জায়গা এখনো ফাঁকা অবস্থায় রয়েছে। সেখানে গঙ্গাঋদ্ধি প্রকাশনীতে কথা হয় সম্পাদক মেহেদী হাসান পিয়াসের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই জায়গা বদল হওয়ায় এখনো অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এখনও তাদের স্টল এখানে শিফট করেননি। এজন্য অনেক জায়গা ফাঁকা রয়েছে।’

দেখা যায়, যে কয়েকটা স্টল লিটলম্যাগ চত্বরে ছিল, বেশিরভাগ স্টলেই ছিল স্বল্পসংখ্যক বই, ম্যাগাজিন।

মেলায় আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ক সাহা সারাবাংলাকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এবং করোনার কারণে এবারের বইমেলার প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ নেই। সাড়া জাগানো নতুন কোনো বইও নেই এবার। এখন পর্যন্ত বই কেনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে এসেছি, তাই ভাবলাম বইমেলা ঘুরে যাই।’

আরেক দর্শনার্থী সুদীপ বসু বলেন, ‘বই না কিনলেও বইমেলায় আসতে ভাল্লাগে। যদিও করোনার কারণে প্রতিদিন আসা হয় না। হরতালের কারণে রাস্তা ফাঁকা থাকায় আজ চলে এসেছি। কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে যাবো।’

বিজ্ঞাপন

মেলায় অনন্যা প্রকাশনীর স্টলের স্বেচ্ছাসেবী কাজী শান্তা বলেন, ‘মেলায় এবার লোকজনের সংখ্যা খুবই কম। প্রতিদিনই কম লোক আসেন, তবে আজ হরতালের কারণে আরও কম মানুষ এসেছেন। তুলনামূলক প্রতিদিন সন্ধ্যার দিকে কিছু বই বিক্রি হলেও, আজ সেই সংখ্যাটাও অনেক কম।’

সারাবাংলা/এসএ/এমও

আড্ডায় মশগুল বই বইমেলা ২০২১ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর