মিয়ানমারের শরণার্থীদের থাইল্যান্ডে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ
৩০ মার্চ ২০২১ ১৭:১৬
মিয়ানমারের কারেন রাজ্যের মুত্রো জেলায় জান্তা সরকারের বিমান হামলায় থাইল্যান্ডের দিকে পালিয়েছেন তিন হাজার গ্রামবাসী। তবে তাদের বেশিরভাগই থাইল্যান্ডের সীমান্তে পেরিয়ে দেশটিতে ঢুকতে পারেননি। অন্তত দুই হাজার পলাতক গ্রামবাসীকে থাইল্যান্ডের ভূ-সীমায় ঢুকতে দেয়নি থাই বাহিনী। মিয়ানমারের স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ এমন অভিযোগ করেছে। খবর সিএনএন।
এর আগে শনিবার থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন এলাকার এক সেনাচৌকিতে হামলা করে স্থানীয় সশস্ত্র একটি সংগঠন। এ হামলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক লেফটেন্যান্ট কর্নেলসহ ১০ জন সেনা নিহত হয়। ওই হামলার জবাবে শনিবার মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলের মুত্রো জেলায় বিমান হামলা চালায় সেনাবাহিনী। হামলা থেকে বাঁচতে মুত্রো জেলার তিন হাজার বাসিন্দা সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিতে পালিয়েছেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে কারেন উইমেন্স অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, এই মুহূর্তে তিন হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে জঙ্গলে দিন কাটাচ্ছে। তারা সীমান্ত অতিক্রম করে শরণার্থী হিসেবে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিতে চায়।
তবে অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ‘দ্য কারেন ইনফরমেশন সেন্টার’ ও ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)’ দাবি করেছে, অন্তত ২০০৯ জন শরণার্থী সীমান্তবর্তী জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন। থাই সীমান্তে ঢুকার পরপরই তাদের আবার মিয়ানমারে সীমায় ফিরে আসতে বাধ্য করেছে থাই বাহিনী।
এদিকে থাইল্যান্ড সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, সীমান্তে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাও বলেছেন, সরকার মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। মিয়ানমারের জনগণের উপর যে সহিংসতা চালানো হচ্ছে তার পক্ষে হয়ত কাউকেই পাওয়া যাবে না।