হেফাজতের নাশকতায় না.গঞ্জে ৬ মামলায় আসামি ৫০০
৩০ মার্চ ২০২১ ১৭:৩৩
নারায়ণগঞ্জ: জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গত ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতাল চলাকালে নাশকতার ঘটনায় পৃথক ছয়টি মামলা হয়েছে। সোমবার (২৯ মার্চ) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি এবং র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।
প্রত্যেক মামলায় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি এবং অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে মশিউর রহমান জানান, গতকাল সোমবার রাতে মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়েছে। র্যাব ও পুলিশের পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে নাশকতার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে। এছাড়াও সরকারি কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও আহত করার ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই ছয় মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে র্যাব-পুলিশের কয়েকটি টিম নাশকতা সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতালে স্বাভাবিক ছিল নারায়ণগঞ্জ শহর ও উপজেলা এলাকাগুলো। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে সাইনবোর্ড এলাকা ছিল হরতাল সমর্থকদের দখলে। তারা এই মহাসড়কে তাণ্ডব চালিয়ে রণক্ষেত্রে পরিণত করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ১৮টি যানবাহনে আগুন দেয়। নির্বিচারে চলে ভাঙচুর। দফায় দফায় বিজিবি-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এতে পুলিশ-সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পুর সময় জুড়ে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও ছিলেন পিকেটাররা। তারা অন্তত ১২ জন সাংবাদিককে মারধর ও দুইটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মহাসড়কটি ভোর ছয়টা থেকে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত আটটা পর্যন্ত হরতাল সমর্থকদের দখলে ছিল।
জেলা পুলিশের তথ্যমতে, এই সময়ের মধ্যে ১৮টি ট্রাক, বাস, কাভার্ডভ্যানে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের মারধর করেছে হেফাজতের পিকেটাররা। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শর্ট গানের রাবার বুলেট ও চায়নিজ রাইফেলের প্রায় চার হাজার রাউন্ড গুলি ছুড়তে হয়েছে। পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় দেড়শ’ টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করা হয়।
সারাবাংলা/এনএস
