দুই ভাই বরকত রুবেলের বিরুদ্ধে চার্জশিট ১৫ এপ্রিল
১ এপ্রিল ২০২১ ২০:০৭
বরকত ও রুবেল, ফাইল ছবি
ঢাকা: ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণের তারিখ আগামী ১৫ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম চার্জশিট গ্রহণের এ তারিখ ধার্য করেন।
এদিন চার্জশিট অব্যাহতির সুপারিশপ্রাপ্ত তিন আসামি-নিশান মাহমুদ শামীম, মো. বিল্লাল এবং জাফর ইকবাল নামে তিনজনকে জামিন দেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এসব তথ্য জানান।
এর আগে, গত ৩ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
চার্জশিটভূক্ত অপর আসামিরা হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন। দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এই দুই ভাই অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
সারাবাংলা/এআই/একে
