লকডাউন চায় না ব্যবসায়ীরা, নিউমার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ
৪ এপ্রিল ২০২১ ১৭:২৭
ঢাকা: লকডাউনের বিরোধিতা করে নিউমার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে ব্যবসায়ীরা। এমনকি বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের একটি দল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করেছে।
রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, এলিফান্ট রোড, সাইন্সল্যাব, চকবাজার, উর্দুরোড, ইসলামপুর এলাকায় বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মাঠে নামে। ব্যবসায়ীরা কোথাও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আবার কোথাও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এর মধ্যে নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকে। লকডাউন মানি না মানব না, দোকান পাট খোলা থাকবে, জোর করে মার্কেট খোলা রাখা হবে, বাধা আসলে বাধা দেবো, লকডাউন চাই না, চাই না, ব্যবসায়ীদের মারবেন না, মারবেন না- ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে চলছিল বিক্ষোভ। সেখানে চন্দ্রিমা, গাউছিয়াসহ বেশ কযেকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এসে যোগ দেয়। এতে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। বিপুল সংখ্যক গাড়ি আটকা পড়ে। পুলিশ তাদের অনুরোধ করে সড়ক ছেড়ে দিতে বললে ব্যবসায়ীদের একটি দল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। একইসময় বেশ কয়েকটি প্রাইভেটকার ও একটি বাস ভাংচুর করে।
নিউ মার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছীন আলী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তারা সড়ক ছেড়ে দিচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন। তারা আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে উর্দুরোড এলাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন ব্যবসায়ীরা। উর্দুরোড অভ্যান্তরীণ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন মালিক বলেন, ‘গত বছর লকডাউন থাকায় যে লোকসান হয়েছে সেই ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে পারিনি। এবার কেবল বেচাবিক্রি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। অথচ সরকারি সবই খোলা থাকছে। শুধু মার্কেট বন্ধ থাকবে তা কি করে হয়।’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জালাল বলেন, ‘আমরা চাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখতে। বিবেচনা করে এই অনুমতি দেওয়া হোক। না হলে সবাই মাঠে মারা যাবে। কেউ ভাত পাবেন না। দিনে অন্তত চারঘণ্টা হলেও মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূদ আহমদ বলেন, ‘এখানে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেছে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। তারা সীমিত পরিসরে হলেও মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন।’
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম