করোনা: নির্দেশনা বাস্তবায়নের তাগিদ আইজিপির

ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ২৯ মার্চ জারি করা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮ দফা এবং ৪ এপ্রিল জারি করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১১ দফা নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সকল মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ এবং জেলার পুলিশ সুপারদের জন্য এই বার্তা দেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, সরকারের নি‌র্দেশনাসমূহ সোমবার (৫ মার্চ) থেকে বলবৎ করতে হবে। এ সকল নির্দেশনা প্রতিপালনে বলপ্রয়োগ নয় বরং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করানোর ওপর জোর দেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, আগের বছরের মতো এবারও উন্মুক্ত স্থানে বাজার বসার ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব দোকানপাট খোলা থাকবে সেখানে পূর্ণাঙ্গরূ‌পে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেনটাইন নিশ্চিতকরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে কেউ এলে ১৪ দিন কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের অবস্থানস্থল চিহ্নিত করতে হবে।

তিনি বলেন, জরুরি সেবাসমূহ, শিল্প কারখানা এবং গার্মেন্টস খোলা থাকবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। পণ্য পরিবহণকারী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে।

পুলিশ অফিসার এবং ফোর্সকেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে আইজিপি বলেন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। করোনা আক্রান্ত এবং মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই পিপিই, ফেসশিল্ড, মাস্ক ইত্যাদি সুরক্ষা সামগ্রী যথাযথভাবে পরিধান করতে হবে।

এছাড়াও, পুলিশের সকল অবকাঠামোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন আইজিপি। পাশাপাশি, সকল স্থাপনা নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

আইজিপি বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তা প্রতিরোধে পুলিশ জনগণের পাশে থেকে এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানবিক পুলিশে পরিণত হয়েছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায়ও পুলিশসহ সকলে মিলে সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সচেষ্ট থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সারাবাংলা/ইউজে/একেএম

আইজিপি বেনজীর আহমেদ কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশ পুলিশ