‘বিধিনিষেধ’ ৭ দিনের বেশি কি না, সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার
৫ এপ্রিল ২০২১ ১৬:২৩
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এক সপ্তাহের জন্য ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে সরকার। এর আওতায় মূলত নাগরিকদের চলাচল ও জনসমাগম এড়ানোর জন্যই বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়বে কি না, তা বৃহস্পতিবার বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার (৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সংক্রমণরোধে সরকারি বিধিনিষেধ সাত দিনের বেশি বাড়ানো হবে কি না, তা বৃহস্পতিবার বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন- সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
মানুষের গতিবিধিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, কারণ মানুষ যতই বাইরে আসবে ততই এ সংক্রমণ বেড়ে যাবে উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘তবে আজ সকাল থেকেই আমরা দেখতে পাচ্ছি, আগের অবস্থা থেকে এখনকার অবস্থা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সবাইকেই সহযোগিতা করতে হবে, সংক্রমণ যাতে করে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার আমরা দেখছি সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সে ক্ষেত্রে সবাইকে সংযত আচরণ করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত কঠোরভাবে তাদের ওপর অর্পিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।’
এই পরিস্থিতিতেও বইমেলা খোলা রাখার যুক্তি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে রিকশাকে লকডাউনের বাইরে রাখা হয়েছে। সেজন্য বইমেলা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অমর একুশে বইমেলা খোলা রাখা হয়েছে।’ বিধিনিষেধের প্রথম দিন থেকে বইমেলা পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণরোধে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নানারকম পদক্ষেপ। গত ২৯ মার্চ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। পরবর্তী সময়ে ৪ এপ্রিল সংক্রমণ বিস্তার রোধে এক সপ্তাহের জন্য ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে সরকার। সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও