৩৫টি বেঞ্চ চালুর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মানববন্ধন
৫ এপ্রিল ২০২১ ১৮:৪০
ঢাকা: করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের জারি করা বিধিনেষেধ চলাকালে সুপ্রিম কোর্টে ৩৫টি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ চালু এবং অধস্তন আদালত (জেলা জজ ও দায়রা জজ) খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীরা।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেছেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে হাইকোর্টে ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ চালু না করলে আন্দোলনের মাধ্যমে তা আদায় করা হবে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের বার ভবনের সামনে সাধারণ আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সাধারণ আইনজীবী পরিষদের আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সাবেক সম্পাদক মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী বলেন, `করোনায় ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ চালু রাখার সক্ষমতা আছে সুপ্রিম কোর্টের। অথচ মাত্র চারটি বেঞ্চ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।`
প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লকডাউনের সময়ে সুপ্রিম কোর্টের ৩৫টি বেঞ্চ এবং সব নিম্ন আদালত ভার্চুয়ালি খোলা রাখার আবেদন জানাচ্ছি। লকডাউন শেষ হলে আগের মতো নিয়মিতভাবে এবং ভার্চুয়ালি আদালত খুলে দেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করছি। কিন্তু আমাদের এসব দাবি মানা না হলে আগামীকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
মানববন্ধনে সাধারণ আইনজীবীরা দাবি করেন, এত দিন প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের অংশগ্রহণে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চ, হাইকোর্ট বিভাগের ৩৫টি বেঞ্চে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম চলে আসছিল। কিন্তু এখন আবারও সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আগের মতো এখনো ভার্চুয়ালি হাইকোর্টের ৩৫টি আদালত চলতে সমস্যা কোথায়? তাই প্রধান বিচারপতির কাছে আমাদের সকল আইনজীবীদের দাবি সুপ্রিম কোর্টের রোববারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে হাইকোর্টে ৩৫টি বেঞ্চ দেওয়া হোক। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে জেলা জজ ও দায়রা জেলা জজ আদালতে ভার্চুয়ালি বিচার কাজ চালু করা হোক।
মানববন্ধনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিকুল হক তালুকদার রাজা, সৈয়দ মামুন মাহবুব, মাসুদ হোসেন দোলন, সাবেক সহসভাপতি সাইফুর রহমান, মোজাম্মেল হক ও জুলহাস উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে সরকারের সাতদিনের লকডাউনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চারটি বেঞ্চে ভার্চুয়ালি বিচারকাজ চলবে বলে গতকাল (রোববার) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বসবেন। একইসঙ্গে দেশের নিম্ন আদালতগুলোতে জরুরি বিষয়ে শুনানির জন্য শুধু একজন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে প্রধান বিচারপতি এ সিদ্ধান্ত নেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই