আরও ৪শ বেড়ে সংক্রমণের নতুন রেকর্ড ৭৬২৬
৭ এপ্রিল ২০২১ ১৫:৫৯
দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণে প্রতিদিনই ভাঙছে আগের দিনের রেকর্ড। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় টানা চতুর্থ দিনের মতো সাত হাজারের বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পাশাপাশি সংক্রমণের রেকর্ড ভেঙেছে। আগের দিন ৭ হাজার ২১৩ জনের শরীরর সংক্রমণ শনাক্ত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬।
এদিকে, একই সময়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ৬৩ জন। এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত দেশে একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যায় তৃতীয় সর্বোচ্চ।
বুধবার (৭ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষাতেও রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২৩৭টি আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও অ্যান্টিজেন ল্যাবে মোট নমুনা সংগ্রহ কর হয়েছিল ৩৪ হাজার ৬৬৮টি। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৩০টি, একদিনে সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ৩৪ হাজার ৩১১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ৭ হাজার ৬২৬টি নমুনায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ এটি। এ নিয়ে দেশে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ০২ শতাংশ, যা আগের দিনের চেয়ে বেশি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে মোট শনাক্তের হারও কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৫০।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬৩ জন মারা গেছেন, তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৯ হাজার ৪৪৭ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৫৬ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বুধবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সারাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ৬৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১৬ হাজার ১৮১ জন। গত ২৭ জানুয়ারির পর থেকে এ পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৫৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৫ জন।
সারাবাংলা/টিআর