এবারও এফবিসিসিআই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না ঋণ খেলাপিরা
৭ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৩৩
ঢাকা: দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ঋণ খেলাপির তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে পাঠানো হয়েছে। ফলে ঋণখেলাপিরা এবারও এফবিসিসিআই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের ২০২১-২৩ মেয়াদের নির্বাচন ৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। এফবিসিসিআই সংবিধির ১৫সি ধারা মোতাবেক ঋণ খেলাপিদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ রয়েছে। সেই মোতাবেক প্রার্থীদের ঋণখেলাপি তথ্য যাচাই প্রয়োজন। এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের ২০২১-২৩ মেয়াদের নির্বাচনে প্রার্থীদের সিআইবি হালনাগাদ তথ্য যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের ২০২১-২৩ মেয়াদের নির্বাচনে ৮০ পরিচালক পদে ৮৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে মনোনীত পরিচালক পদে চেম্বার গ্রুপে ১৭টি ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ১৭টি পদে বিপরীতে ১৬ জন করে মোট ৩২ জন প্রার্থী হয়েছেন। দুটি মনোনীত পরিচালক পদে প্রার্থী দেয়নি গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)।
অপরদিকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া জন্য চেম্বার গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে ২৫ জন ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে ২৬ জন প্রার্থী হয়েছেন। এফবিসিসিআই নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আলী আশরাফসহ নির্বাচন বোর্ডের সদস্যদের সই করা প্রার্থী তালিকায় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ মে পরিচালক পদে ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। গত ৩১ মার্চ (বুধবার) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে মোট ৮৩ জন পরিচালক প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী তালিকায় অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে একমাত্র সভাপতি প্রার্থী বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়াও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে মনোনীত পরিচালক হয়েছেন- এ কে এম সেলিম ওসমান, ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, নজরুল ইসলাম মজুমদার, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, এস. এম. সফিউজ্জামান, মো. আমিন উল্লাহ, কে. এম. আক্তারুজ্জামান, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, এ কে এম মনিরুল হক, মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, আবু হোসাইন ভুইঁয়া রানা, খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী খোকন, মুনির হোসেন ও আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল।
অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ভোটে নির্বাচিত হতে প্রার্থী হয়েছেন- রব্বানী জব্বার, খন্দকার মনিউর রহমান জুয়েল, জামাল উদ্দিন, মুনতাকিম আশরাফ, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, আক্কাস মাহমুদ, রাশিদুল হাসান চৌধুরী রনি, এম জে আর নাসির মজুমদার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, এম এ মোমেন, হাবিব উল্লাহ ডন, শফিকুল ইসলাম ভরসা, আমিন হেলালী, হাফেজ হারুন, ড. ফেরদৌসী বেগম, ফেরদৌস হুদা চৌধুরী, আমজাদ হোসেন, নিজাম উদ্দিন রাজেশ, আসলাম সেরনিয়াবাদ, ড. কাজী এরতেজা হাসান, শাহিন আহমেদ, শমী কায়সার, আবু নাসের, আলী জামান ও ড. নাদিয়া বিনতে আমিন।
অপরদিকে চেম্বার গ্রুপ থেকে মনোনীত পরিচালক প্রার্থীরা হলেন- জশোধা জীবন দেবনাথ, প্রীতি চক্রবর্তী, সেরনিয়াবাদ ময়নউদ্দিন আব্দুল্লাহ, নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ, এ এম মাহবুব চৌধুরী, ড. মুনাল মাহবুব, আবুল কাশেম খান, নাজ ফারহানা, কাজী আমিনুল হক, সাইফুল ইসলাম, আমিনুল হক শামীম, মো. শামসুজ্জামান, মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, রেজাউল ইসলাম মিলন ও তাহমিন আহমেদ।
চেম্বার গ্রুপ থেকে প্রার্থী হয়েছেন- হাসিনা নেওয়াজ, মাসুদুর রহমান মিলন, আজিজুল হক, দিলিপ কুমার আগরওয়ালা, মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, আবুল খায়ের মোরসালিন, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, রেজাউল করিম রেজনু, গাজী গোলাম আশরিয়া, গোলাম মোহাম্মদ, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, সুজিব রঞ্জন দাস, ইকবাল শাহারিয়ার, আলী হোসেন, শাহ জালাল, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, তবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, মোহাম্মদ রিয়াদ আলী, খায়রুল হুদা চপল, খান আহমেদ শুভ, মুতাসিরুল ইসলাম, এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক, এম এ রাজ্জাক খান, হুমায়ূন রশিদ খান পাঠান ও সালাউদ্দিন আলমগীর।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম