ইরফানের জামিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে শুনানি ১৯ এপ্রিল
৮ এপ্রিল ২০২১ ১৬:৪১
ঢাকা: নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরের মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ইরফান সেলিমের আপিল আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন চেম্বার জজ আদালত।
আপিল বিভাগরে নিয়মিত বেঞ্চে ওইদিন জামিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইরফান সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
আদালতে ইরফান সেলিমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আবদুল বাসেত মুজমদার। তার সঙ্গে ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
তিনি জানান, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে করা আবেদন গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পরে সেটি শুনানির জন্য আজ (৮ এপ্রিল) কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন আদালত। সে অনুযায়ী আজ আপিল বিভাগের শুনানির জন্য ছিল। তবে আজ আদালত আবেদনটি আগামী ১৯ এপ্রিল আপিল বিভাগরে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে, গত ১৮ মার্চ ইরফান সেলিমকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তার জামিন বিষয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে ইফরান সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
গত ২৭ জানুয়ারি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ নিজেই বাদী হয়ে ‘মারধর ও হত্যা চেষ্টার’ অভিযোগে ইরফান সেলিমসহ চার জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, গত বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজি সেলিমের গাড়ি। এরপর ওয়াসিফ মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এ সময় হাজি সেলিমের গাড়ি থেকে দুই জন ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর করে। একপর্যায়ে ওয়াসিফ আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তখন ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এরপর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও