যমুনা ফিউচার পার্কে ক্রেতার দেখা নেই
৯ এপ্রিল ২০২১ ২২:০১
ঢাকা: মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে মার্কেট খুললেও নেই ক্রেতার দেখা। অনেকেই বলছেন, খোলার চেয়ে না খোলাই তো ভালো ছিলো।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে দেখা যায়, দোকানগুলোতে নেই ক্রেতার দেখা। দোকানের কর্মচারীরাই অলস সময় পার করছেন। আর দোকানগুলোর ম্যানেজারদের মুখে হতাশ আর লোকসানের ছাপ দেখা গেছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের এসটাসি দোকানের কর্মচারী সাজ্জাদ বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তথা লকডাউনের আগে আমাদের ভালোই ক্রেতা ছিল। আজকে শপিংমল খুললেও ক্রেতা নেই। সকাল থেকে হাতে গোনা ১ বা ২ জন কাস্টমার এসেছে। এভাবে তো দোকান খোলার চেয়ে না খোলাই ভালো। আমাদের দোকান খুললে প্রতিদিন বিভিন্ন খরচ রয়েছে সেগুলোও তো উঠবে না এভাবে চললে।’
ইনফিনিটি দোকানের ম্যানেজার আবু হুরায়রা সারাবাংলাকে বলেন, ‘ক্রেতা খুব কম। নির্দিষ্ট করে বললে সকাল থেকে ১০টা কাস্টমারও হয়নি। এভাবে এতোবড় একটা দোকান কি চলতে পারে। আমাদের না হলেও শতাধিক কর্মচারী রয়েছে। বিদ্যুত খরচ, মার্কেট খরচসহ নানা খরচ আছে এগুলো উঠবে কিভাবে? করোনা আমাদের ব্যবসা সব শেষ করে দিচ্ছে।’
আড়ংয়ের কাস্টমার ম্যানেজার হুমায়রা আহমেদ বলেন, ‘আড়ংয়ে যেভাবে ক্রেতারা এসে থাকে সেভাবে ক্রেতার সংখ্যা নেই। খুব কম ক্রেতা। যা উল্লেখ করার মতো না। এভাবে আমাদের আড়ংয়ের মতো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আমাদের শতশত কর্মচারী, দেখা যাচ্ছে এভাবে চললে তাদের রাখাও তো আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। আসলে করোনা আমাদের সবার ক্ষতি করেছে। সেটা ছোট হোক বা বড় সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করেছে করোনা।’
যমুনা ফিউচার পার্কে ইয়েলো ব্র্যান্ডের দোকানে গিয়ে দেখা গেল কোনো ক্রেতা নেই। কেমন বিক্রি হচ্ছে এই কথা জানতেই ম্যানেজার বললেন, ‘বিক্রি অনেক খারাপ। সকাল থেকে খালি হাতে বসে আছি। এমন শুক্রবার হয়তো আমাদের খুব কম যায়।’
সারাবাংলা/এসজে/একে