ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নতুন নির্দেশনা জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানায়, আজ রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকের পর নতুন নির্দেশনা জানানো হবে। তবে সে নির্দেশনা কেমন হবে বা কী কী থাকবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আজ শেষ হবে।
এর আগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে শিল্প কারখানা খোলা রেখে সাত দিনের বিধিনিষেধ দিয়েছিল সরকার। কিন্তু পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে লকডাউন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও বলেন লকডাউনের চিন্তা করা হচ্ছে, আর সেটা ১৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
তাদের এ বক্তব্যের পরে বিভিন্ন পর্যায় থেকে জনমনে প্রশ্ন ওঠে যে, যদি ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউন হয় তবে ১২ ও ১৩ এপ্রিল কি জনজীবন স্বাভাবিকভাবে চলবে নাকি দুদিন আগে থেকেই লকডাউন দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকেই লকডাউন জারি করা হবে নাকি আবার বিধিনিষেধ দেওয়া হবে সেটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো আদেশ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন। তিনি সারাবাংলাকে বলেছেন, বিকেলে এ সংক্রান্ত বৈঠক রয়েছে, সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা চলমান রয়েছে। এরমধ্যেই ১১ দফা কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সাতদিনের এই কঠোর বিধিনিষেধে শিল্প কারখানা, গণপরিবহন, হাট- বাজার শপিংমল সবই শর্ত মেনে খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। এ পদক্ষেপের পরেও সংক্রমণ বাড়তি থাকায় নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন- ১৪ থেকে ২০ এপ্রিলের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ
১৪ এপ্রিল থেকে আসতে পারে সর্বাত্মক লকডাউন
‘দুই সপ্তাহের লকডাউন না দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না’