ভাঙনের পথে ছাত্র ইউনিয়ন, আজ একাংশের জরুরি সম্মেলন
১২ এপ্রিল ২০২১ ০২:৫৬
ঢাকা: জরুরি জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (১১ এপ্রিল ) সংগঠনটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক তামজিদ হায়দার চঞ্চলের নামে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়। তবে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির নেতৃত্বে অপর গ্রুপ এ সম্মেলন অস্বীকার করেছে।
তামজিদ হায়দার চঞ্চল গ্রুপের নেতৃবৃন্দরা বলেছেন, গঠনতান্ত্রিক শূন্যতা ও জরুরি সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ২৭ ও ২৮ মার্চ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত কেন্দ্রীয় সংসদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এবারের সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। সম্মেলন সফল করতে ইতিমধ্যেই ৭১ সদস্যের প্রস্তুতি পরিষদ ও ১০টি উপ-পরিষদ গঠিত হয়েছে। বিগত সম্মেলনে অংশ নেওয়া সারাদেশ থেকে ৪৮টি সাংগঠনিক জেলার দুই শতাধিক প্রতিনিধি জরুরি জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেবেন।
তবে ছাত্র ইউনিয়নের এ অংশের সম্মেলন অস্বীকার করেছেন সভাপতি সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ গ্রুপের নেতারা। এসব বিষয় নিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে সারাবাংলাকে জানান, সামনে সিপিবির (বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি) কংগ্রেস। যারা ছাত্র ইউনিয়ন থেকে বাদ পড়েছে তাদের পর্দার আড়াল থেকে পেট্রোনাইজ করছেন দলটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। এক্ষেত্রে দৃশ্যমান রয়েছেন জলি তালুকদার।
ওই নেতা বলেন, ‘যারা সম্মেলন ডেকেছে তাদের সংখ্যা খুবই কম। ঢাকা মহানগরের একাংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিশোরগঞ্জ জেলা ওদের সঙ্গে রয়েছে। বাকি ৫৪টি জেলা কমিটি আমাদের সঙ্গে রয়েছে। এই গ্রুপটি চাচ্ছে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক তাদের দিতে হবে। এটাতো কোন ভাবেই সম্ভব নয়। গঠনতন্ত্রে বাইরে যাওয়া যায় না। সারা দেশের নেতৃবৃন্দ সিপিবি সভাপতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে’।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দলটিতে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে এখনই শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এতে করে দলটির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে দু’টি গ্রুপ। দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চাপা ক্ষোভ। এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে আনছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। এ নিয়ে তদন্ত পাল্টা তদন্ত এবং সদস্য পদ স্থগিতও করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমিটর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন জেলা পর্যায়ের কমিটির নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে দলটির বন্ধুপ্রতীম সকল সংগঠনগুলোর নেতারা। সিপিবির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। দলটির একাধিক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে সারাবাংলাকে এসব তথ্য দেন।