ভ্যাকসিন কিনতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৪২৫০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি
১২ এপ্রিল ২০২১ ২১:২৩
ঢাকা: করোনারভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন কিনতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার (স্থানীয় মুদ্রায় ৪ হাজার ২৫০ কোটি) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে ভ্যাকসিন কিনতে জনসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের জন্য নায্যতার সঙ্গে দ্রুত ঋণ মঞ্জুরের আহ্ববান জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে সাড়া দিয়ে ঋণচুক্তি করেছে সংস্থাটি। সোমবার (১২ এপ্রিল) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস’ প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা হিসেবে এ ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ১১ এপ্রিল ঋণচুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন চুক্তিতে সই করেন।
এতে আরও বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় ইতোমধেই ২০২০ সালের ১০ এপ্রিল ১০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি। এই প্রকল্পের আওতায় এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) কাছ থেকেও ১০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়া গেছে। এর ধারাবাহিকতায় ভ্যাকসিন কেনার জন্য চলমান প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- ভ্যাকসিন কেনা ও সরবরাহ করা। কোভ্যাক্স থেকে অগ্রিম ভ্যাকসিন কেনার মাধ্যমে দেশের মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশকে এর আওতায় আনা যাবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ভ্যাকসিন টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভ্যাকসিন সংরক্ষণ এবং বিতরণে কোল্ড চেইন সিস্টেম অক্ষুন্ন রাখার মাধ্যমে এর গুণগতমান নিশ্চিত করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের এই অতিরিক্ত অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) তহবিলের নিয়মিত শর্ত প্রযোজ্য হবে। ঋণটি ৫ বছরের গ্রেস (রেয়াতকাল) পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের পরিশোধযোগ্য এবং সুদের হার হবে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এছাড়া সার্ভিস চার্জ থাকবে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম