Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৮৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে ৭ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ এপ্রিল ২০২১ ০৮:৪৮

ঢাকা: দেশে তৈরি হচ্ছে সাতটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র। এজন্য ‘সাতটি বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ স্থাপন শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অনুমোদন পেলে ২০২৩ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং গণপূর্ত অধিদফতর।

প্রস্তাবটি নিয়ে আগামী ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি ) সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন আল রশিদ। গত ৭ এপ্রিল জারি করা সভার কার্যপত্র সারাবাংলার কাছে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮-তে বলা হয়েছে আরোগ্যের প্রয়োজন কিংবা আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট অন্যবিধ প্রয়োজন ছাড়া মদ ও অন্যান্য মাদক পানীয় এবং ভেষজের ব্যবহার নিষিদ্ধে রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। এ মূলনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন প্রবর্তন করে এবং জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড গঠন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করে। আইনটি ১৯৯০ সালের ২ জানুয়ারি কার্যকর করা হয়।

এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ভিশন হচ্ছে মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়া। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে নিবিড় কর্ম সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর দেশে মাদকের ভয়াবহ ক্ষতি হ্রাসে অন্যতম ভূমিকা পালন করে।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশনের উপ-প্রধান মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত সভার নোটিশের সঙ্গে সংযুক্ত কার্যপত্রে বলা হয়েছে, মাদক নির্ভশীলতা একটি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা। অধিদফতরের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন অধিশাখা এমন মাদকাসক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।

দেশে মাদকাসক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে ৪টি এবং বেসরকারিভাবে ১৮৫টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র আছে, যা দেশে মোট মাদকাসক্ত রোগীর তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। এ কারণে সরকারি পর্যায়ে আধুনিক মানসম্পন্ন নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। এসব বিবেচায় প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের মূল কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- ভূমি উন্নয়ন, ২১টি যানবাহন ক্রয়, সিসি ক্যামেরা, হাসপাতালের মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি সরঞ্জাম, ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটার সামগ্রী, অফিস সরঞ্জাদি, আসবাবপত্র, অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা, আবাসিক ভবন, পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য বিধান, বহিঃবিদ্যুতায়ন, সৌর বিদ্যুৎ, বহিঃগ্যাস লাইন সংযোগ, সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ এবং ৩৫ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব।

সারাবাংলা/জেজে/এমও

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর