Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিদেশগামী কর্মীদের জন্য ফ্লাইট চালু রাখার দাবি বায়রার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ এপ্রিল ২০২১ ২২:২২

ঢাকা: করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও বিদেশগামী ২০ থেকে ২৫ হাজার কর্মীর জন্য ফ্লাইট চালু রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। তা না হলে বাংলাদেশি এসব কর্মীদের বিদেশ যাত্রা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে বলে মনে করছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বায়রা নেতারা এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বায়রার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাবেক অর্থসচিব ফখরুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, এক সপ্তাহের জন্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সময়মতো না যেতে পারলে নিয়োগকর্তা চাহিদাপত্র বাতিল করতে পারে। বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দিলে কর্মী নেওয়া দেশগুলো যখন জানবে, করোনা মহামারির জন্যে ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে, তখন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করে দেওয়ার পরেও কর্মী নেওয়া দেশগুলো বাংলাদেশি শ্রমিক নিতে অনীহা দেখাতে পারে।

বায়রা নেতারা মহামারির এই সময়ে লকডাউন চলাকালীন পরিস্থিতিতে বিদেশগামী কর্মীদের কথা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ না করে বরং জনশক্তি পাঠানো এই খাতকে ‘জরুরি সেবা খাত’ হিসেবে ঘোষণা করে তা লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানান।

বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়, এক সপ্তাহের জন্যে সব আন্তর্জাতিক ফাইট বন্ধের কারণে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার বিদেশগামী বাংলাদেশি শ্রমিকের নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। তাদের সবাই অধিক মূল্যে ফ্লাইটের টিকেট সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া আরও হাজারো বিদেশগামী কর্মী টিকিটের অপেক্ষায় আছেন। ফলে হঠাৎ ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণায় তাদের বিদেশ যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় সংশ্লিষ্ট সবাই উৎকণ্ঠা ও হতাশায় নিমজ্জিত হবে।

বিজ্ঞাপন

তারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বন্ধ করা হলে মারাত্মক ক্ষতি হবে বিদেশগামী কর্মী, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সর্বোপরি দেশের। কাতার ও ওমানগামী হাজারো যাত্রী লাখো টাকা দিয়ে কোয়ারেনটাইনের জন্যে হোটেল বুকিং দিয়ে রেখেছে। ওইসব দেশে এগুলো নন-রিফান্ডেবল। এতে তাদের বড় অংকের লোকসান গুনতে হবে।

বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইনসহ কর্মী পাঠানো দেশগুলো লকডাউনের মধ্যেও জরুরি খাত হিসেবে বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো বন্ধ হলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে যাবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

ফ্লাইট বায়রা বিদেশগামী কর্মী

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর